খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৪:৪৪

সাহস ডেস্ক

 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারায় আসামিদের এ কারাদণ্ড দেওয়া হলো। এর ফলে আদালত থেকে খালেদাকে সরাসরি জেলে যেতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।  ১৮ মিনিট রায় পড়েন বিচারক আখতারুজ্জামান।

রায়ে বয়স বিবেচনায় খালেদার সাজা পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। খালেদা বাদ দিয়ে অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। 

৪০৯ ও ১০৯ ধারা মোতাবেক আসামিপক্ষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়া বিনাশ্রম ও অন্য পাঁচ আসামি সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করবেন বলে জানিয়েছেন আদালত।

দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির অপরাধে দণ্ডিত হলেন। এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হন। তিনি প্রায় ছয় বছর সাজাও খাটেন।

২৬১ কার্যদিবসে ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, ২৮ কার্যদিবস আত্মপক্ষ সমর্থন ও ১৬ কার্যদিবস যুক্তি-তর্ক শুনানি গ্রহণ শেষে এ রায় দেওয়া হলো। খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মামলা দায়েরের ১০ বছর পর এ রায় ঘোষণা করা হলো। 

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ কারাগারে ছিলেন। বাকিরা পলাতক।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ।
সাহস২৪.কম/মশিউর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত