জারের পানিতে দূষণ, অভিযানে বিএসটিআই

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:৩৭

সাহস ডেস্ক

অনুমোদন না নিয়ে বা সঠিকভাবে মান নিয়ন্ত্রণ না করে জারের পানি বিক্রি বন্ধে রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে সরকারের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসটিআই।

২২ জানুয়ারি (সোমবার) ভোরে শুরু হওয়া এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা সিদ্দিকা বেগম। এই অভিযানে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দশটি প্রতিষ্ঠানের ৬০০ পানির জার জব্দ করার পর ধংস করা হয়।

বিভিন্ন অফিসে পানির জার সরবরাহে নিয়োজিত ছয়টি ভ্যানও জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক আরাফাত হোসেন সরকার জানান, ওই দশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেবল এভারেস্ট ড্রিংকিং ওয়াটার বিএসটিআইযের অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা করছে। কিন্তু তারাও সঠিকভাবে পানি পরিশোধন করছে না। আর বাকি যে নয়টি কোম্পানির জার জব্দ করা হয়েছে, সেগুলো অনুমোদন ছাড়াই পানি বিক্রি করে আসছিল বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) একদল গবেষক সম্প্রতি বোতলজাত ও জারের পানিতে খনিজ উপাদানের মাত্রা ও গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তারা দেখেছেন, ঢাকার বাসাবাড়ি, অফিস-আদালতে সরবরাহ করা ৯৭ ভাগ জারের পানিতে মানুষ ও প্রাণির মলের জীবাণু কলিফর্ম রয়েছে ক্ষতিকর মাত্রায়। টোটাল কলিফর্ম পরিমাপে পানিতে প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান এবং মানুষসহ অন্যান্য প্রাণির অন্ত্রে উপস্থিত অনুজীব ও মলমূত্র দ্বারা দূষণের সম্মিলিত মান পাওয়া যায়। আর ফিকাল কলিফর্ম পরিমাপে শুধু মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর অন্ত্র ও মলমূত্রের দ্বারা দূষণের মাত্রা জানা যায়।

কলিফর্ম মূলত বিভিন্ন রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও প্রোটোজোয়ার মতো প্যাথোজেন সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করে দেয়। কলিফর্ম গোত্রের অণুজীব ই-কোলাই ডায়রিয়া, মাথা ব্যথা, বমিভাব, পেট ব্যথা, জ্বর-ঠান্ডা, বমির মত নানা উপসর্গ সৃষ্টি করে, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। সংক্রমণের মাত্রা বেশি হলে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে হেমোলাইটিক ইউরেমিক সিনড্রম দেখা দিতে পারে। এই রোগের কারণে লোহিত কণিকা ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হতে থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে মারাত্মক কিডনি জটিলতা দেখা দেয়।

সাহস২৪.কম/জুয়েনা/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত