শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনজীবন

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:১৩

টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হাড় কাঁপানো ঠান্ডার সাথে কনকনে শীতল বায়ু প্রবাহ, কুয়াশা আর সূর্যের ক্ষণস্থায়ী অবস্থান পরিস্থিতিকে ভযাবহ করে তুলেছে। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্য উঠতে উঠতে দুপুর। কিন্তু ঘোলাটে সূর্যের তাপে নেই প্রখরতা। ফলে আবহওয়া উষ্ণ হচ্ছে না কিছুতেই। হটাৎ পড়া এমন ঠান্ডায় রোগী, শিশু, বৃদ্ধ আর দিনমজুর মানুষ পড়েছেন বেকায়দায়।

জেলার পাঁচ উপজেলা ঘিরে রয়েছে বিস্তৃত পদ্মা, মহানন্দাসহ চার নদী। শীতের তীব্রতা বেশী নদীতীর ও চরাঞ্চলে। অপরদিকে জেলার বিস্তীর্ণ বরেন্দ্রাঞ্চল অপেক্ষাকৃত ফাঁকা হওয়ায় সেখানে বায়ু প্রবাহের গতি বেশী। শীতের ছোবল সেখানেও মারাত্মক। নিতান্তই দরকার ছাড়া ঘরের বাহির হচ্ছেন না কেউ। সন্ধ্যা হতে না হতে ফাঁকা হয়ে পড়ছে শহরগুলির সড়কও। যানবাহন চলাচলও কমে গেছে।

জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান বলেন, জেলায় এ মৌসুমে এপর্যন্ত ৩২ হাজার পিস কম্বল বিতরণ হয়েছে। মঙ্গলবার আরও ৫ হাজার পিস আসার কথা জানা গেছে। প্রয়োজনে আরও চাহিদা পাঠানো হবে।

জেলা শহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফুল হক বলেন, তীব্র শীতে শিশুদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কিছু কমে গেছে।

সিভিল সার্জন সায়ফুল ফেরদৌস বলেন, বিশেষ করে শিশুদের সকালে ও সন্ধ্যায় সাবধানে রাখতে হবে। ওই সময় দুটিতে ঠান্ডার আঘাত হয় বেশী। বুকের দুধ খাওয়ানো মাদের পানি কিছুটা গরম করে খেতে হবে। নাক দিয়ে যেন ঠান্ডা বাতাস ঢুকতে না পারে সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

গত কয়েকদিনে পাশের জেলা রাজশাহীর আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রির কম বলা হচ্ছে। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবহাওয়া কেন্দ্র না থাকায় সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজশাহী থেকে আরও ৫০ কি.মি উত্তর-পশ্চিমে অবস্থানের কারণে শীতের তীব্রতা রাজশাহীর চাইতেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেশী বলে সবসময় ধারণা করা হয়।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত