নলডাঙ্গায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে মিজানের বাজিমাত

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:১৫ | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:১৭

নাটোর প্রতিনিধি
ছবি: সাহস

আমদানি নির্ভরতা কমাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ‍্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের অধিকাংশ কৃষক শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ করে। ফলে গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। কৃষি বিভাগ দেশে গ্রীষ্মকালেও পেঁয়াজ চাষের পদক্ষেপ নিয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফলতার দেখা পেয়েছেন নাটোর নলডাঙ্গা উপজেলার বহ্মপুর ইউনিয়নের সড়কুতিয়া গ্রামের কৃষক মো. মিজানুর রহমান মিজান।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. কিশোয়ার হোসেন জানান, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কুতিয়া গ্রামের অনেক কৃষকে মধ্যে মিজানুর রহমান মিজান কাশ্মিরী জাতের পেঁয়াজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন । বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ৮৫ মণ। 

কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, এ বছর তিনি ১৭ কাঠা জমিতে গ্রীষ্মকালীন কাশ্মিরী জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন। রোপণ থেকে তার পেঁয়াজ উত্তোলনের উপযোগী হতে সময় লেগেছে ৮৫-৯০ দিন। চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে ১৭হাজার ৫০০ টাকা।

ইতোমধ্যে ৫ কাঠা জমির পেঁয়াজ উত্তোলন করা হয়েছে। কাঠা প্রতি ফলন হয়েছে প্রায়৪/৫ মণ। এ হিসেবে বিঘায় ফলন হবে প্রায় ৮৫ মণ। বাজারে এ পেঁয়াজ ২থেকে আড়াই হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। কৃষি অফিসের উদ্বুদ্ধকরণ তাদের সহায়তা ও নিয়মিত পরিদর্শনে আমি এই আবাদ করতে সক্ষম হয়েছি।

এ বিষয় উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফৌজিয়া ফেরদৌস জানান, কৃষক মিজানুর রহমান সফলতার সঙ্গে এই পেঁয়াজ আবাদ করেছেন, তা সর্বোচ্চ ৬-৭টি হচ্ছে এক কেজি। আমরা নিয়মিত তাকে পরামর্শ, পরিদর্শনসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন,দেশের মানুষের জন্য সারা বছর পেঁয়াজের খাদ্য চাহিদা মেটানো, বছরজুড়ে ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করাসহ বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমাতে এই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদের জন্য গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বীজ, সার ও আন্তঃ পরিচর্যা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। যাতে কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদে আগ্রহী হন। কৃষি বিভাগ এ ব্যাপারে সজাগ আছেন।