রামগতিতে অতিবৃষ্টিতে রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২০, ১৭:৪৩

সয়াল্যান্ড খ্যাত জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অতিবৃষ্টিতে মাঠে দন্ডায়মান রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, পুরো উপজেলায় লকডাউন থাকায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া উঠতি ফসল শ্রমিক সংকটে ক্ষেত থেকে তুলতে না পারায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান একাধিক কৃষক। সরকার ও কৃষি অফিস সহযোগিতা না করলে না খেয়ে মারা যাবেন বলে জানান ভূমিহীন কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কৃষিভিত্তিক পরিবারের সংখ্যাই বেশি। এখানে বড় কৃষক রয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৩শ জন, মধ্যম কৃষক ৮ হাজার ৫শ জন, ক্ষুদ্র কৃষক ৬ হাজার ৮শ জন, প্রান্তিক কৃষক ৮ হাজার ৭৫০ জন আর ভূমিহীন রয়েছে ১৩ হাজার ৫শ জন।

এদিকে, অতিবৃষ্টিপাতের ফলে এ উপজেলায় ১৫ হাজার ৫শ হেক্টর আবাদী জমির ৭ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমির সয়াবিনের ক্ষতি হয়েছে, চিনাবাদাম করা হয়েছে ২ হাজার ৫শ হেক্টর যাতে ক্ষতিগ্রস্থ ১ হাজার ২শ হেক্টর, মরিচ ৬শ হেক্টর জমিতে করা হয় তাতে ৩শ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্থ, মুগ ১ হাজার ৫০ হেক্টরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ ৫২৫ হেক্টর, ফেলন ২শ হেক্টরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ ১শ হেক্টর, ভূট্টা ৩০ হেক্টরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ ১৫ হেক্টর, বোরো ৪৭০ হেক্টর জমিতে করা হয়েছে যার কোন তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, ৮শ হেক্টর জমিতে সবজি করা হলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ১শ হেক্টর জমির ফসল, আখ ১৫ হেক্টর যার তেমন কোন ক্ষতি হয়নি, মিষ্টি আলু ১৫০ হেক্টরের মধ্যে ৭৫ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্থ হয়, পান ২০ হেক্টরের মধ্যে ক্ষতি হয় ৫ হেক্টর, আউস ১শ হেক্টর জমিতে চাষ হয় এতে ৫০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, ‘কৃষি নির্ভর জীবিকায়নের এ এলাকায় মেঘনা নদীর ভাঙ্গন কৃষি ও কৃষকের বিশেষ ক্ষতির কারণ। এখানে নদী ভাঙ্গনের ফলে ছিন্নমূল ভূমিহীনের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বর্তমানে অতিবৃষ্টির ফলে মাঠে দন্ডায়মান রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যাচ্ছেনা। আমরা কৃষি কর্মীরা সব সময় মাঠে আছি। মাঠ থেকে পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা যাবে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত