আপেল ও কমলার চেয়ে পেয়ারাই পুষ্টিমানে সেরা

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০১৯, ১৪:৫৫

সাহস ডেস্ক
সংগৃহীত

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফল পেয়ারা। এটিকে অনেকে 'গরিবের আপেল' বলে থাকেন।দেশের সর্বত্রই এটির ফলন হয়। তবে বাণিজ্যিকভাবে বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এলাকায় পেয়ারার বিস্তর চাষ হয়ে থাকে। 

পেয়ারা গাছের অন্যতম এক বৈশিষ্ট্য হলো, এটি কম সময়ের মধ্যে ফল দেয়। এছাড়া এটি চাষের জন্য বেশি জায়গারও প্রয়োজন পড়ে না। বাড়ির আঙিনায় এক দুটি গাছ হলেই যথেষ্ট, নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়তি অর্থও উপার্জন করা যায়।

পেয়ারার গুণাগুণ আপেলের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ এবং ক্যালসিয়াম। কমলার চেয়ে পেয়ারাতে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি আছে। আছে পর্যাপ্ত আয়রন। এসব উপাদান দেহের ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। পরিণত পেয়ারা কাঁচা ও পাকা, উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়।

পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল। যা ক্যান্সার প্রতিরোধক। বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে পেয়ারা। এছাড়া পেয়ারা খেলে স্তন ক্যান্সার হওয়ার শঙ্কাও কমে যায়। পেয়ারার মধ্যে থাকা ক্যারোটিনয়েডস, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, লুটেইন ও ক্রিপ্টোজ্যানথিন ফুসফুস ও মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আর লাল পেয়ারার লাইকোপিন মূত্রনালী ও মূত্রথলির ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

পেয়ারা পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী ও সুগঠিত করে তোলে। এটি বিভিন্ন প্রকার সংক্রামক রোগ ও জীবাণুর আক্রমণকে প্রতিহত করে। আমাশয় নিরাময়ে পেয়ারা খুবই কার্যকর। পাকা পেয়ারা অতিরিক্ত আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া পেয়ারা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

পেয়ারায় প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকলেও তা দেহের ওজন বাড়তে দেয় না। পেয়ারায় ডায়াটারি ফাইবারের আধিক্য রয়েছে। আরও রয়েছে স্বল্প ক্যালরি সমৃদ্ধ ও সহজে হজমযোগ্য জটিল শর্করা। ফলে পেয়ারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

পেয়ারার বেশ কিছু ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে। এছাড়া সর্দি-কাশিতে কচি পেয়ারার পাতা রস করে হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ এবং ক্যালসিয়াম। কমলার চেয়ে পেয়ারাতে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি আছে। আছে পর্যাপ্ত আয়রন। এসব উপাদান দেহের ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

পেয়ারা পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী ও সুগঠিত করে তোলে। এটি বিভিন্ন প্রকার সংক্রামক রোগ ও জীবাণুর আক্রমণকে প্রতিহত করে। আমাশয় নিরাময়ে পেয়ারা খুবই কার্যকর। পাকা পেয়ারা অতিরিক্ত আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া পেয়ারা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

পেয়ারায় প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকলেও তা দেহের ওজন বাড়তে দেয় না। পেয়ারায় ডায়াটারি ফাইবারের আধিক্য রয়েছে। আরও রয়েছে স্বল্প ক্যালরি সমৃদ্ধ ও সহজে হজমযোগ্য জটিল শর্করা। ফলে পেয়ারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

তাই পেয়ারা উৎপাদনে যত্নবান হতে হবে এবং এর আহরণ মৌসুম দীর্ঘায়িত করতে সচেষ্ট হতে হবে।

সাহস২৪.কম/ বাশার

 

 

 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত