প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের সুফল, বাজারে ফরমালিন মুক্ত আম

প্রকাশ : ১১ জুন ২০১৯, ০০:৪১

সংগৃহীত

সংশয় অথবা আতঙ্ক কেটে গেছে। এবারও আমে ফরমালিন নেই। বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি বিভাগীয় ও জেলা শহরে বাংলাদেশ বিএসটিআই এর পরীক্ষায় বাজারে আসা আমে ফরমালিন পাওয়া যায়নি।
 
সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদনকারী জেলা রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সারাদেশের বাগান, বাজার ও আড়ৎ মনিটরিংয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে ২৬৫টি আমের নমুনা পরীক্ষা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অএন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)।

এমন প্রতিবেদন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অএন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) আইনজীবী ব্যারিস্টার এস এম রাশিদুল হাসানের হাতে রয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী ১৮ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন জমা দেবেন তিনি।

আইনজীবী ব্যারিস্টার এস এম রাশিদুল হাসান বলেন, “আদালতের নির্দেশ অনুসারে সারাদেশে বিএসটিআইয়ের ৪৮টি টিম ফলের বাজার ও গুদামে মনিটরিং করে। এছাড়া রাজধানীর আটটি পয়েন্টে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, র‌্যাব ও বিএসটিআইয়ের সমন্বয়ে চেকপোস্ট বসানো হয়। এতে ২৬৫টি আমের নমুনা পরীক্ষা করা হয়”।

উল্লেখ্য, গত ২০ মে আমে কেমিক্যাল ব্যবহার রোধে ঢাকাসহ সারাদেশের ফলের বাজার ও গুদামগুলোতে তদারকির জন্য মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সাত দিনের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাব মহাপরিচালক, বিএসটিআই চেয়ারম্যান ও পরিচালককে এই মনিটরিং টিম গঠন করে আগামী ১৮ জুন এ বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।

 গত ৯ এপ্রিল রাজশাহী অঞ্চলের আমবাগানগুলোতে কেমিক্যাল ব্যবহার রোধে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তদারকি করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশ বাস্তবায়ন করে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ও রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এর মধ্যে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার।

গত কয়েক দিন আগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে আমের রাসায়নিকের উপস্থিতি পরীক্ষা করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের জানান, বাজারের আমে কোনো প্রকার রাসায়নিক পদার্থ বা ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া যায় নাই । ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওই টিম অভিযানের সময় আম, আপেল, আঙ্গুর এবং মাল্টার ২০টি নমুনা সংগ্রহ করে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)। সংশ্লিষ্টদের মতে, এবার মৌসুমের আগে থেকেই ফলে ফরমালিন ও কার্বাইড ব্যবহারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের সুফল এটি। আতঙ্কে মৌসুমী ফল খাওয়া ছেড়ে দেয়া মানুষের জন্য এটি অনেক বড় সুখবর। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত