নীলফামারীতে সরকারিভাবে ধান, গম ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন

প্রকাশ : ২০ মে ২০১৯, ১৪:২০

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে সরকারিভাবে ধান, গম, সিদ্ধচাল ও আতপ চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলায় ধানের পরিমান দুই হাজার ৬১২, গম ৬৫২, সিদ্ধচাল ১৭ হাজার ৯৫৯ ও আতপ চাল ৬১৬ মেট্রিকটন ক্রয় করা হবে।

রবিবার (১৯ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলা খাদ্য গুদাম চত্বরে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন প্রধান অতিথি হিসেবে ক্রয় অভিযানের উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো, আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সুজাউদৌলা, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তৌহিদুর রহমান, ইটাখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রশিদ মঞ্জু, মিলার সমিতির সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক প্রমুখ।

প্রান্তিক কৃষকদের কাজ থেকে সরাসরি কেজি প্রতি ২৬ টাকা দরে ধান, কেজি প্রতি ২৮ টাকা দরে গম ক্রয় করা হবে। অপরদিকে, সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা ও ৩৫ টাকা কেজি দরে আতপ চাল মিলারদের কাজ থেকে ক্রয় করবে সরকার।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কাজী সাইফুদ্দিন অভি বলেন, জেলা সদরসহ ছয় উপজেলায় গম ৬৫২ মেট্রিক টন, দুই হাজার ৬১২ মেট্রিকটন ধান, ১৭ হাজার ৯৫৯ মেট্রিকটন সিদ্ধচাল ও ৬১৬ মেট্রিক টন আতপ চাল ক্রয় করা হবে।

এর মধ্যে, নীলফামারী সদর ৭৪০, সৈয়দপুর ২৩৬, ডোমার ৪১৩, জলঢাকা ৪৬২, ডিমলা ৪১১ ও কিশোরগঞ্জ ৩৫০ মেট্রিকটন ধান কৃষকদের কাজ থেকে ক্রয় করা হবে।

অপরদিকে, গম সদর উপজেলায় ২৬৫, সৈয়দপুর ২২, ডোমার ১২৮, জলঢাকা, ৯৬, ডিমলা ১০১, কিশোরগঞ্জ থেকে ৪০ মেট্রিকটনসহ মোট ৬৫২ মেট্রিকটন গম ক্রয় করা হবে।

সিদ্ধচাল- জেলা সদরে ৬ হাজার ৪৭৮, সৈয়দপুর ২ হাজার ৩৭৬, ডোমার দুই হাজার ৩৩৯, জলঢাকা ৩ হাজার ৯২৯, ডিমলা ১ হাজার ৮৫২ ও কিশোরগঞ্জে ৯৮৫ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাউল সরাসরি মিলারদের কাজ থেকে ক্রয় করা হবে। 

আতপ চাল- নীলফামারী সদর ৫০৯ ও সৈয়দপুর উপজেলা থেকে ১০৭ মেট্রিকটন আতপ চাল একইভাবে মিলারদের নিকট থেকে কেনা হবে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার সভাপতিত্বে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউনিয়ন পর্যায়ে বাচাইকৃত কৃষকদের তালিকা অনুযায়ী সরাসরি কৃষকদের কাজ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান, ২৮ টাকা কেজি দরে গম ক্রয় করা হবে।

এদিকে, ৩৬ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল ও আতপ প্রতি কেজি ৩৫ টাকা দরে স্থানীয় মিলারদের কাছে ক্রয় করা হবে। প্রান্তিক কৃষকের সুবিধার্থে প্রয়োজনে মিলারদের হাট-বাজারে গিয়ে ধান ক্রয় করা ছাড়াও নারী কৃষকরা যাতে হয়রানী না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারিসহ তারা সহজে যাতে সরকারের এই ক্রয় অভিযানে তাদের উৎপাদিত ধান (পণ্য) বিক্রি করতে পারে সেটাও আমাদের ভাবতে হবে।

উল্লেখ্য, একজন কৃষক গম ১৫০ কেজি থেকে ৩ হাজার কেজি ও ধান ১২০ কেজি থেকে ৩ হাজার কেজি পর্যন্ত ধান দিতে পারবেন।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত