শসা চাষে স্বপ্ন

প্রকাশ : ১৩ মে ২০১৯, ১৬:৪২

তপু আহম্মেদ

শসা চাষ করে অল্প সময়েই সাবলম্বী হয়েছেন টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনা, পাকুটিয়া ও মামুদনগরের প্রান্তিক চাষীরা। উচ্চ ফলনশীল জাতের হাইব্রিড আলাভী ৩৫ ও কাশিন্দা জাতের শসা চাষ করে এ এলাকার চাষীরা এখন স্বাবলম্বী।

বেটুয়াজানী গ্রামের চাষী রফিক মিয়া দুই বিঘা জমিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে শসা চাষ শুরু করে এ পর্যন্ত তিন শত মন শসা বিক্রি করেছেন। আরো দুই থেকে আড়াই’শ মন শসা বিক্রি হবে বলেও দাবী করেন তিনি।

শসা চাষে এ এলাকার চাষীদের সাফল্য দেখে উপজেলার অন্য এলাকার চাষীরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তাই বেটুয়াজানী, লাড়–গ্রাম, পারবাইজোড়াসহ আশ পাশের গ্রামগুলোতে ব্যাপক সাড়া পরেছে শষা চাষে।

নবগ্রামের কৃষক সুকুমার, পার্শ্ববর্তী নরদহি গ্রামের বাদল মিয়া জানান, আমরা অন্যান্য কৃষকদের মতই সাধারণ ফসলের চাষ করতাম। তবে এখন উপজেলার কৃষি অফিসারদের পরামর্শে ও বিভিন্ন বীজ কোম্পানিদের তত্বাবধানে আমরা বিভিন্ন লাভজনক সবজি চাষে আগ্রহী হয়েছি।

সুকুমার আরও বলেন, আমি এবার শসার সাথে সাথী ফসল হিসেবে করলা চাষ করে সফলতা পেয়েছি। 

বেটুয়াজানী গ্রামের চাষী রফিক মিয়া বলেন, আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফসল আবাদ করলেও, এই শষা চাষ করে যে সাফল্য অর্জন করেছি তা অবাক করারমত। আমার শষা চাষ দেখতে অনেকেই আমার ক্ষেতে আসলে আমি চাষের পদ্ধতীসহ এর পরিচর্যার খুটিনাটি বিষয় বুঝিয়ে দেই। আগামী বছর গুলোতে এই এলাকার আরো অনেকেই শসা চাষ করবেন বলে তিনি জানান।

নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিএম রাশেদুল আলম জানান, নাগরপুর উপজেলার কৃষকরা সবজি চাষে তেমন একটা আগ্রহী ছিলেন না। আমাদের ব্লক সুপার ভাইজারদের অনুপ্রেরণা, বিভিন্ন বীজ কোম্পানির পরামর্শ এবং সর্বোপরি আমাদের বিভিন্ন সময়ের প্রশিক্ষণ পেয়ে কৃষকরা এখন বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। 

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত