নাগরপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

প্রকাশ : ০৬ মে ২০১৯, ২৩:৫৫

তপু আহম্মেদ

আর মাত্র ক’দিন পরেই টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় বোরো ধান কাটার ধূম পড়বে। কৃষকরা এরইমাঝে কিছু আগাম রোপনকৃত বোরো ধান কাটতে শুরু করেছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন এই উপজেলার কৃষকরা। কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য ওঠে আসে।

নাগরপুর কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমি। এতে বিআর ২৮, বিআর ২৯, ধানী গোল্ডসহ বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের ধান বেশি চাষ হচ্ছে। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দিগন্ত মাঠ জুড়ে সোনালি ধানের সমারোহ। বেশিরভাগ ক্ষেতের ধানের ছড়া পাকতে শুরু করেছে। কৃষকরা এরইমাঝে সবুজে সোনালী স্বপ্ন বুনতে শুরু করে দিয়েছেন। 

আর কয়েকটা দিন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো চাষাবাদে বাম্পার ফলন ঘরে তুলবেন তারা। এমনটাই প্রত্যাশা করছেন কৃষক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা। 

বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানান, তারা আগে সনাতন পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। এতে  ফলন কম হতো। খরচ হতো বেশি। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে ধানে মোড়ক লেগে ধান উৎপাদন ব্যাহত হত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে তারা আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন। এতে ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন চাষাবাদে শ্রম, সময় আর ব্যয় কম হয়। পাশাপাশি উৎপাদন হয় বেশি। 

পোষ্টকামরী গ্রামের লুৎফর রহমান, বেটুয়াজানী গ্রামের রফিক মিয়া, সবুর মিয়া, কাশাদহ গ্রামের আজিজ মিয়া সহ অনেক কৃষক জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবার বোরো চাষাবাদে সময়মতো সেচ, সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেছি। আর আবহাওয়াও ছিল অনুকূলে। এ জন্য আমাদের ক্ষেতের ফলনও আগের তুলনায় বেশি হবে বলে ধারণা করছি আমরা। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরান হোসাইন শাকিল বলেন, কৃষি অফিসের সার্বিক পর্যবেক্ষণ আর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বাড়ছে উৎপাদনের মাত্রা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা বোরো চাষাবাদে বাম্পার ফলন পাবে আশা করছেন এই কর্মকর্তা। 

কৃষি উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারসহ নানাদিক তুলে ধরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বি এম রাশেদুল আলম বলেন, কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারছে। এর সুফল পেয়ে কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত