সুনামগঞ্জে বাদাম চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের

প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০১৯, ১২:৩৪

নুর উদ্দিন

সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তের উঁচু জমি বাদাম চাষের উপযোগি। বাদাম চাষে খরচ কম, লাভের পরিমান বেশি হওয়ায় চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে বাদাম চাষে। একই জমিতে বছরে দুইবার বাদাম চাষ করা সম্ভব। গত বছর বাদামের চাষ হয়েছিল সাড়ে ৩ শত হেক্টর জমিতে। এবার ১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের চৌমুহনী, ঝরঝরিয়া, গোদীগাঁও, সাহেবনগর, ইসলামপুর, সুরমা ইউনিয়নের মুসলিমপুর, সৈয়দপুর, কৃষ্ণনগর, তাহিরপুর উপজেলার বিন্নাকুলি, লাউড়েরগড়, বাদাঘাট, ঘাগটিয়া, বালিজুরী, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের সিলডোয়ার, কাইতকোনা, চিনাকান্দি, সলুকাবাদ ইউনিয়নের জিনারপুর, মহাকুড়া, ভাদেরটেক, বেড়েরগাঁও, মথুরকান্দি, বাঘবেড়, গুলগাঁও, দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়ন ও পলাশ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাবে বাদাম চাষ করেছেন চাষিরা।

বাদাম চাষিরা জানান, ১ কেয়ার জমিতে বাদামের চাষে খরচ হয় ৮ হাজার টাকা। বাদাম উৎপাদন হয় প্রায় ২৮ হাজার টাকার। পরিমাণ মতো বৃষ্টি হলে বাদামের ফলন খুবই ভাল হয়। চিনাবাদাম ও দেশীয় বাদাম চাষ হয়। দেশীয় বাদাম চাষে ফলন ভাল হয় বলে জানান চাষিরা।

চাষিরা জানান, ভাদ্র মাসের শেষের দিকে বাদাম রোপন করলে মাঘ মাসে বাদাম ঘরে নিতে পারেন। বাদাম তোলার পর একই জমিতে পুনরায় বাদামের চারা রোপন করা হয় পৌষ মাসে। জ্যৈষ্ঠের প্রথম দিকে দ্বিতীয় ধাপের বাদাম ঘরে তুলতে পারেন চাষিরা।

বিশ্বম্ভরপুরের সলুকাবাদ ইউনিয়নের বেড়েরগাঁও গ্রামের চাষি স্বাধীন মিয়া বলেন, গত বছর ১ কেয়ার জমিতে বাদামের চাষ করেছিলাম। এবার চাষ করেছি আড়াই কেয়ার জমিতে।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বশির আহমদ বলেন, জেলার সদর উপজেলা, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলায় বাদাম চাষের উপযোগি মাটি রয়েছে। বছরে দুইবার একই জমিতে বাদামের চাষ করা যায়। গত বছর বাদামের চাষ হয়েছিল সাড়ে ৩শ’ হেক্টর জমিতে। এবার হয়েছে ১ হাজার ৪ শত ৫০ হেক্টর জমিতে।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত