নতুন জাত ‘গোল্ডেন রাইস’ আসছে: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:৫২

সাহস ডেস্ক

সাধারণ মানুষের ‘ভিটামিন-এ’র ঘাটতি পূরণে সরকার শিগগিরই ধানের নতুন জাত ‘গোল্ডেন রাইস’ উন্মুক্ত করবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এটা জিআই চাল। গরিব মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য এটা আবিষ্কার করেছে ইরি। ব্রি এতে সহায়তা করেছে। এটা ইম্প্রুভ ভ্যারাইটি, হাইব্রিড না। তাই সাধারণ জাতের মতোই চাষি জাত সংরক্ষণ বীজ রাখতে পারবেন। এটা অন্য জাতের মতোই সহজ ও সুলভ চাষাবাদ যোগ্য। 

তিনি বলেন, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠী ভাতের ওপর নির্ভরশীল। তারা পুষ্টিকর সব্জি বা ফল-ফলাদি কিনে খেতে পারেন না। তাদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণের জন্যই একটি জিন ডেভেলপমেন্ট করে এটা করা হয়েছে। আশা করছি তিন মাসের মধ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেবে। জিআই জাত বলেই সতর্কমূলক পরীক্ষা করছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ইরি ধানটি যাতে দ্রুত অনুমোদন পায় সে বিষয়ে অনুরোধ করেছে। তারা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিরি’কে সবসময় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের কোস্টাল এরিয়ার স্যালাইন কন্ডিশনের জন্য নতুন এ জাতের ধান উদ্ভাবনে সহায়ক হবে বলেও আলোচনা হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমেরিকার ড্রাগ অ্যান্ড ফুড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এটার ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার সরকারও এটার ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে যে গোল্ডেন রাইস নিরাপদ, শরীরের জন্য এতে কোনো ঝুঁকি নেই, এটা নিরাপদ। আরও কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। আমরা আশা করছি আমরাও অতিদ্রুত ‘ক্লিয়ারেন্স’ পাব। পরিবেশ মন্ত্রণালয় এজন্য কমিটি করেছে।’

বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ এর মতোই গোল্ডেন রাইসের উৎপাদন পাওয়া যাবে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গোল্ডেন রাইসটা বেশ প্রমিজিং বলে আমরা মনে করছি। একটা নতুন অধ্যায় যোগ হবে।’

তিনি বলেন, ‘চালটার রং হবে গোল্ডেন। খরচ সাধারণ চালের মতোই হবে। অতিরিক্ত কোনো খরচ হবে না।’

পরিবেশের উপর এর প্রভাবের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে- আমাদের পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে কি না এবং নিরাপদ কি না...এটার মধ্যে জিএমও (জেনেটিক্যালি মডিফাইড) আছে তো। তাই সবার একটা ধারণা আছে, এটার সাথে খারাপ কোনো উপাদান যোগ হচ্ছে কি না।’

দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই গোল্ডেন রাইসের ছাড়পত্র পাওয়া যাবে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এ ছাড়া আমাদের উপকূলীয় এলাকাতে এমন জাতের দরকার যা আমরা লবণাক্ত অবস্থার মধ্যে আরও বেশি ধান উৎপাদন করতে পারি। এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। এগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত