ভারতে আটকা পড়েছেন প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২০, ১৪:১৫

সাহস ডেস্ক

গত ২৫ মার্চ থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা ভারত জুড়ে ‘টোটাল লকডাউন’ জারির কথা ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর ফলে ওই দেশে আটকা পড়েছেন প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি।

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সর্বশেষ তথ্য মতে এই হিসাব পাওয়া গেছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটকেপড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা আর্থিক বা অন্য কোনও সমস্যার সম্মুখিন হলে হাইকমিশন ও অন্যান্য মিশনসমূহ তা সমাধানে সচেষ্ট আছে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভারতসহ অন্যান্য দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ অবস্থায় দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনসমূহ বাংলাদেশিদের কল্যাণে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখছে এবং মিশনের কর্মকর্তারা আটকেপড়া দুই হাজার পাঁচশত জন বাংলাদেশির সঙ্গে বিভিন্নভাবে টেলিফোন, হটলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ফেসবুক পেজেও (সোমবার) দিল্লি ও মুম্বাইতে তাদের দুটি হটলাইন নম্বর দিয়ে আটকে পড়া নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে সেখানে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক অনুমোদিত ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার ও ব্যাঙ্কগুলোর প্রতি যে জরুরি নির্দেশিকা জারি করেছে, তার একটি প্রতিলিপিও সেখানে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ভারতের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে তাদের কোনও জরিমানার মুখে পড়তে হবে না – এবং এই বাংলাদেশীদের ভারতে ‘ওভারস্টে’-কেও বৈধ বলে গণ্য করা হবে।

সাধারণত ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কোনও বিদেশি নাগরিক ভারতে থেকে গেলে তাকে সরকারের এফআরআরও বা বিদেশি পঞ্জীকরণ কেন্দ্রে গিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি নোট পাঠিয়ে বাংলাদেশকে জানিয়েছে, এই ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে সেই জরিমানা থেকে ছাড়ের ব্যবস্থা করা হবে। চিকিৎসা বা পর্যটনের জন্য ভারতে এসে এখন আর দেশে ফিরতে পারছেন না, এরকম বাংলাদেশীর সংখ্যা মোট কত তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।

কোভিড-১৯ এর ব্যাপ্তি রোধকল্পে ভারত সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনও ধরণের বিদেশি (প্রবাসী ভারতীয়সহ) ১৪ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ভারত থেকেও কোনও বিদেশি নাগরিকের বহির্গমন নিরুৎসাহিত করছে। এছাড়া ভারতের আন্তঃরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ ব্যবস্থাও এ মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত