ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় ম্যাংখটের তাণ্ডবে ২৫ জনের প্রাণহানি

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:০৬

সাহস ডেস্ক

ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় (টাইফুন) ম্যাংখটের তাণ্ডবে এ পর্যন্ত অন্তত ২৫ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে খবরে বলা হচ্ছে। রবিবার ভোরে ফিলিপাইন ছেড়ে যাওয়ার সময় ম্যাংখটের বাতাসের প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগ ছিল ১৪৫ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। তবে চীনে আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ কমে ৩০ কিলোমিটারে নেমে আসতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

কাগায়ান রাজ্যে শনিবার আঘাত হেনে হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত করে এবং ফসলের ক্ষেত মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে গেছে ম্যাংখট। উচ্চগতির ঝড় এবং টানা বৃষ্টির কারণে কাগায়ানে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটে। ফিলিপাইনের বিভিন্ন এলাকা বিধ্বস্ত করে দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি এখন চীনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। 

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ফ্রান্সিস তোলেন্তিনো জানান, উত্তরাঞ্চলের মধ্যবর্তী জেলা কর্ডিলেরার পাহাড়ি এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেখানে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নুয়েভা একিজায় ভূমিধসে চারজন এবং মারিকিনা এলাকায় একজনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে দুজন উদ্ধারকর্মী রয়েছেন বলেও জানান ফ্রান্সিস তোলেন্তিনো।

প্রতিরক্ষা সচিব দেলফিন লোরেনজানা বলেন, শনিবার ভোরে কাগায়ান রাজ্যের ব্যাগাও শহরে ভূমিধসের ফলে তিনটি বিদ্যুৎ স্থাপনা (টাওয়ার) মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। কাগায়ানের বিধ্বস্ত তুগুয়েগারাও বিমানবন্দরটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং সেখানে এরই মধ্যে সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে।

লোরেনজানা জানান, কাগায়ানসহ কয়েকটি রাজ্যের হাজার হাজার ঘরবাড়ির চাল উড়ে গেছে এবং বিপুল পরিমাণ এলাকার ধান ও ভুট্টার ক্ষেত মাটিতে শুয়ে পড়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথে ফিলিপাইনের প্রায় ৪২ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে। ৯০ হাজার মানুষকে অতি বিপজ্জনক জায়গা থেকে সরিয়ে নিরাপদে নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতিস্বরূপ কাগায়ানের স্কুল-কলেজ ও অফিস-আদালত বৃহস্পতিবার থেকেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

ম্যাংখট দুর্যোগপ্রবণ দেশটিতে আঘাত হানা এ বছরের ১৫তম ঘূর্ণিঝড়। দেশটিতে সাধারণত বছরে ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টি ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। ২০১৩ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘হায়াত’ কেড়ে নিয়েছিল সাত হাজার ৩০০ মানুষের প্রাণ, এ ছাড়া বিপর্যস্ত হয়েছিল লাখ লাখ মানুষের জীবন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত