জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন ছাড়লো যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েল প্রশ্নে মীমাংসা না হওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির বিরুদ্ধে ‘নোংরা রাজনৈতিক পক্ষপাতের’ অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিল। আজ বুধবার (২০ জুন) বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, ভণ্ড ও নিজ স্বার্থে পরিচালিত এই কাউন্সিল আসলে ‘মানবাধিকারের নামে রসিকতা করে’।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিল ত্যাগের কথা জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি।

সংবাদ সম্মেলনে হ্যালি বলেন, কাউন্সিলটি ‘মানবাধিকার রক্ষার প্রশ্নে খুবই দুর্বল সংগঠন।’

গত বছর মানবাধিকার কাউন্সিল ‘চরম ইসরায়েলবিরোধী’ বলে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ করেছিলেন হ্যালি। সেসময় তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সদস্যপদ নিয়ে পুনরায় মূল্যায়ন করবে।

জেনেভাভিত্তিক জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ২০০৬ সালে গঠিত হয়। মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করেছে এমন দেশকে সদস্য হওয়ার অনুমতি দেওয়ায় সংস্থাটির সমালোচনা করা হয়। 

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ব্যাহত হতে পারে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেইন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘হতাশাব্যঞ্জক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তার মুখপাত্রের মাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছেন, কাউন্সিলে যুক্তরাষ্ট্রের থাকার বিষয়টিকে অধিকতর শ্রেয় মনে করেন তিনি।
সাহস২৪.কম/মশিউর