ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে হতাশ দক্ষিণ কোরিয়া

প্রকাশ : ২৫ মে ২০১৮, ১৪:২৪

সাহস ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন আন্তর্জাতিক নেতারা। আলোচনা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার উনের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত নতুন এজেন্ডা উপস্থাপন করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার নেতার মধ্যে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠক বাতিল হওয়ায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে যেন আমরা সবার জন্য আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি: তাহলো কোরীয় উপদ্বীপে যাচাইযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত করতে পারি।

আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকটি বাতিলের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইটার পোস্টে লিখেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে ১২ জুন নির্ধারিত বৈঠক বাতিল হওয়ায় সিঙ্গাপুর হতাশ। সিঙ্গাপুর আশা করে কোরীয় উপদ্বীপে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা এবং সংলাপ অব্যাহত থাকবে।

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে হতাশা জানিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে বলা হয়, ১২ জুন ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা আর হচ্ছে না শুনে আমরা হতাশ হয়েছি।

যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার নেতার মধ্যে বৈঠকের পথ প্রশস্ত হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের হাত ধরে। বৈঠক বাতিল হয়ে যাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বৈঠক বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে কোরীয় উপদ্বীপের দেরি করা ঠিক হবে না।

উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল এক ঐতিহাসিক বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখতে সম্মত হন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। পরদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। ২৪ মে সাংবাদিকদের সামনে পুঙ্গেইরি পরমাণু পরীক্ষাকেন্দ্রটি ধ্বংসের দাবি করে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু এদিনই ১২ জুনের বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে কিমকে চিঠি দেন ট্রাম্প।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত