ট্রাম্পকে শিক্ষা দিতে ১০ লাখ গাছ রোপণের উদ্যোগ

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৭:০২

সাহস ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প শুরু থেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছেন। 

ট্রাম্পের দাবি, এসব তথ্য ভিত্তিহীন। জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য জীবাশ্মের চেয়ে ভালো কোনও বিকল্প নেই। জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে বিজ্ঞানীদের সতর্কতাকে অস্বীকারকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শিক্ষা দিতে গত মার্চে এক অভিনব উপায় বেছে নেন এক দল পরিবেশবিদ। ট্রাম্পের বিতর্কিত পদক্ষেপের কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হবে তা মেটাতে গাছ রোপণের সিদ্ধান্ত নেন তারা। চালু হয় ট্রাম্প ফরেস্ট নামের প্রকল্প। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এক বছর না যেতেই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার মানুষ অনুদান হিসেবে ১০ লাখেরও বেশি গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছেন।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের আগেই ট্রাম্প ফরেস্ট প্রকল্পটি ঘোষণা করা হয়। ওই প্রকল্পের জন্য তৈরি ওয়েবসাইটে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মানব সৃষ্ট কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মানেন না। সেকারণে ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত যে গ্রিনহাউস গ্যাস যুক্ত হবে তা শুষে নেওয়ার জন্য বনায়নের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। ট্রাম্পের বিশাল বোকামির কারণে যে ক্ষতি হবে তা মেটাতে বৈশ্বিক বন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা।

আয়োজকরা বলছেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তে ট্রাম্প যদি অনড় থাকেন তবে ২০২৫ সাল নাগাদ বায়ুমণ্ডলে ৬৫০ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড যুক্ত হবে। অনুদানকৃত গাছগুলো রোপণ করলে অতিরিক্ত এ কার্বন শুষে নেওয়া যাবে বলে আশা করছেন তারা।

প্রকল্পের সহ প্রতিষ্ঠাতা ব্রিটিশ জলবায়ু বিজ্ঞানীড. ড্যান প্রাইস বলেন, এখন থেকে ৩০ বছর পর যখন লোকজন ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিকে পৃথিবী এবং যৌক্তিক চিন্তার উপর আঘাত হিসেবে দেখবে তখন তারা এ বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের কথা জেনে শান্তি পাবে। ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে যে বিশ্ব সম্প্রদায় অতিরিক্ত কার্বন শুষে নেওয়ার ব্যবস্থা করার কারণে ট্রাম্পের পদক্ষেপ ধোপে টেকেনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর পরই বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ঠেকাতে ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে সংশয়ী হয়ে উঠেছিলেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তাদের আশঙ্কাকে সত্যি করে ২০১৭ সালের জুনে বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সমর্থন তুলে নেয়। প্যারিস চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পক্ষে ট্রাম্পের যুক্তি-এটি মার্কিন স্বার্থবিরোধী। এ বছরের শুরুতে ব্রিটিশ আইটিভি নিউজের পিয়েরস মরগানকে সাক্ষাৎকার দেন ট্রাম্প। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, বিশ্বের জলবায়ু পরিস্থিতি নিয়ে বিজ্ঞানীরা যা বলেন এবং পরিসংখ্যানে যা উঠে আসে তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। ট্রাম্পের দাবি, পৃথিবী একইসঙ্গে উষ্ণ ও শীতল। মেরু অঞ্চলের বরফ গলার খবর সত্য নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

সাহস২৪.কম/জুয়েনা/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত