আজ মা দিবস

প্রকাশ : ০৮ মে ২০১৬, ১৬:৫২

সাহস ডেস্ক

‘মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই
ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই’

মা- ছোট্ট এই শব্দ জুড়েই সকল ভালোলাগা-ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা। পৃথিবীর সব থেকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মানুষ মা। মা’কে ঘিরেই সকল আবদার, চাহিদা। মার কাছেই সকল অভিযোগ। দুষ্টামি হোক কিংবা বাবার বকুনি সব কিছুতে নিরাপদ আশ্রয় মায়ের আঁচল।

মাকে ভালোবাসা আর তার প্রতি হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধার বিষয়টি পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোতে অত্যাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলামে মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশতের কথা বলা হয়েছে। অন্যান্য ধর্মেও মাতৃভক্তি আর তার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞান সবার ওপরে স্থান দেওয়া হয়েছে। কবি-গীতি কবিরা অজস্র ছত্র রচনা করেছেন। আর এই মা দিবসের বিশ্বের ইতিহাস শতবর্ষের পুরনো। 

আজ বিশ্ব মা দিবস। মায়ের জন্য ভালোবাসা তো বছরের সব দিনে। তবে কেন আলাদা করে এই মা দিবস? জেনে নেওয়া যাক-

মে মাসের ২য় রবিবারকে মা দিবস করার মূলে আছেন আন্না এম জারভিস(১৮৬৪-১৯৪৮) নামের Philadelphia (ফিলাডেলফিয়া) একজন স্কুল শিক্ষিক।

যুক্তরাষ্ট্রে আনা জারভিস নামে ওই নারী মায়েদের অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। এ কাজের মধ্য দিয়ে তিনি মায়েদের কর্মদিবসের সূচনা করেন। ১৯০৫ সালে আনা জারভিস মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন।

১৯০৭ সালের মে মাসের ২য় রবিবার ছিল আন্না জার্ভিসের মায়ের (অ্যান মারিয়া রিভস জার্ভিস) মৃত্যু বার্ষিকী। সেই দিনটিকেই আন্না জার্ভিস মা দিবস হিসেবে পালন করেন। এবং রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, ও সমাজের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিদের কাছে এই দিনকে মা দিবস হিসেবে পালন করার জন্য ও সরকারিভাবে ঘোষণা করার জন্য চিঠি লিখতে শুরু করেন এবং সবাইকে মা দিবসের গুরুত্ব বুঝানোর চেষ্টা করেন আন্না জার্ভিস। পরের বছর Philadelphia (ফিলাডেলফিয়া) রাজ্যজুড়ে পালিত হয় মা দিবস।

১৯১৪ সালে উড্রো উইলশন নামের আমেরিকান প্রেসিডেন্ট দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দান করেন। 

আর এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী সমাজে বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকায় এটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে আসছে। সেখানে উদযাপনের জনপ্রিয়তায় বড়দিন এবং ভালোবাসা দিবসের পর মা দিবসের অবস্থান।

সেই বিবেচনায় বাংলাদেশে এ দিবসটি ঘটা করে পালনের ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। যদিও মাকে সম্মান, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেখাতে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করে নেওয়ার যুক্তি অনেকের কাছেই সেভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে অনেকেই মনে করেন মাকে সম্মান দেখাতে, তাকে গভীরভাবে স্মরণ করতে আন্তর্জাতিকভাবে পালিত আন্তর্জাতিক মা দিবসের গুরুত্ব রয়েছে। যে কারণে বিশেষত নাগরিক জীবনে দিনটি পালনের ক্ষেত্রে বেশি সাড়া মিলেছে কয়েক বছর ধরে। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত