রশিদের বল খেলা অসম্ভব নয়: মাহমুদুল্লাহ

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:১৬

সাহস ডেস্ক

৮৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়ানো শক্তি দিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ষষ্ঠ উইকেটে ১২৮ রানের জুটি গড়েন অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে খেলতে হয়েছে রশিদ খানের ‘ভয়ঙ্কর’ বলগুলাও। দুজনে যখন ক্রিজে তখনও আফগানিস্তানের এই স্পিন জাদুকরের ওভার বাকি ছিল আরও ৯টি। দীর্ঘ এই জুটিতে মোট ৪৮ বল খেলে ৩৬ রান তুলেছেন রশিদের ওভার থেকেই।

এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই লেগ স্পিনারে কাছে লিটন দাস ছাড়া উইকেট দেননি কেউই। শুধু তাই নয় রশিদের শেষ তিনটি ওভারে দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন রিয়াদ। আর আফগানিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই তারকার শেষ ওভারে রিভার্স সুইপ করে চারও মেরেছেন ইমরুল কায়েস।

এত সব বলার কারণ হচ্ছে, গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। ওই ম্যাচে ৯ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন তিনটি উইকেট। ৪৪টি বলই ছিল ডট বল!

রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আবুধাবিতে ৮১ বলে ৭৪ রান ও পাঁচ ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন রিয়াদ। হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

ম্যাচ শেষে ৩২ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার জানান, রশিদ খানের বল খেলা অসম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমি বেশি কাজ (রশিদের বোলিং বৈচিত্র্য) করিনি। গেলো তিনদিনে চারটি ম্যাচ খেলতে হয়েছে। তাই আলাদা করে চিন্তা করার সুযোগ মিলেনি। আমি শুধু মাথা ঠাণ্ডা করে খেলেছি। আমরা সবাই জানি বর্তমানে অন্যতম সেরা বোলার রশিদ। তবে এর মানে এই না যে তার বল খেলা অসম্ভব।

এশিয়া কাপে চার ম্যাচে তুলে নিয়েছেন ৮ উইকেট। রান দেয়ার ক্ষেত্রেও রশিদ ছিলেন বেশ কৃপণ।

রিয়াদ বলেন, আমাদের জুটিতে চেষ্টা করেছি তাকে উইকেটটি তাকে না দিয়ে আসতে। আর শেষ পর্যন্ত আমরা সফল হয়েছিলাম।

বাংলাদেশের বোলাদের প্রশংসা করে এই তারকা বলেন, আমি বলবো মুস্তাফিজের শেষ ওভারটাই টার্নিং পয়েন্ট। যদিও আমাদের জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারপরও ৬ বলে ৮ রান ডিফেন্ড করাটা এতোটা সহজ নয়। যা করে দেখিয়েছেন মুস্তাফিজ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত