মোরশেদ খানসহ সিটিসেলের ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০১৭, ১৩:২৮

সাহস ডেস্ক

সিটিসেলের পরিচালক এম মোরশেদ খানসহ কোম্পানিটির মোট আট জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হয়েছে। প্রায় দেড় কোটি টাকা মজুরি পাওনার অভিযোগে মামলাগুলো দায়ের করেছনে কোম্পানিটিরর পাঁচ কর্মকর্তা।

আজ সোমবার (৭ আগস্ট) ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান বেগম তাবাসসুম ইসলামের আদালতে মামলাগুলো দায়ের করেন ওই পাঁচ কর্মকর্তা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালত মামলগুলো গ্রহণ করে আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে।

মামলার এজহার থেকে জানা গেছে, মোরশেদ খান ছাড়া মামলার অপর বিবাদীরা হলেন, সিটিসেল এর সিইও মেহবুব চৌধুরি, পরিচালক ও মোরশেদ খানের স্ত্রী নাসরিন খান, পরিচালক আসগর করিম, চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার এবং প্রভিডেন্ড ফান্ড ট্রাস্টির সদস্য তারিকুল হাসান, সিটিও এবং প্রভিডেন্ড ফান্ড ট্রাস্টির সদস্য মাহফুজুর রহমান, প্রভিডেন্ড ফান্ড ট্রাস্টির সদস্য নিশাত আলী ও প্রভিডেন্ড ফান্ড ট্রাস্টির সদস্য এ বি সরকার।

আর মামলাগুলো করেছেন, সিটিসেলের কর্মকর্তা টিপু সুলতান, কাজী রুহুল কুদ্দুস, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক মিলন ও এ কে এম এহসানউল আজাদ।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম জানানা,  পাওনা প্রায় দেড় কোটি টাকার জন্য সিটিসেলের পাঁচ কর্মকর্তা পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সিটিসেলের পরিচালক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানসহ আট জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে আরও ২৫টি মামলা দায়ের করা হবে।

বাদী পক্ষের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে সিটিসেল কোম্পানিতে চাকরি করে আসছেন তারা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তাদের যাবতীয় মজুরি কোনো কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেয় সিটিসেল কর্তৃপক্ষ। দুই তিন মাস যাওয়ার পর তারা মজুরির টাকার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলতে থাকেন। কর্তৃপক্ষ ডিসেম্বরের মধ্যে তা পরিশোধের জন্য আশ্বাস দেন।

তবে তখন পাওনা টাকা না দেওয়ায় গত মার্চ মাসে তাদের পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য সম্মিলিতভাবে সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দেন। এরপরও টাকা না দেয়ায় ২০১৭ সালের ৩ মে সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দেন করেন তারা।

তাতেও কোনো সাড়া না পাওয়ায় এই মামলাগুলো করেন ওই পাঁচ কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত