পুলিশের কোনো ক্ষতি হয়নি এতেই আপনার যতো আপত্তি?

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০১৬, ১৫:১৯

সাহস ডেস্ক

রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের সফল অভিযান নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে তিনি তাঁর বক্তব্য দেন।

রাজধানীর জনবহুল এলাকা কল্যাণপুরে সোমবার (২৫ জুলাই) মধ্যরাতে অভিযান চালায় পুলিশ। কল্যাণপুরের ৫নং সড়কের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ‘তাজ মঞ্জিল’ ভবনে ভোররাতে সোয়াটের নেতৃত্বে ‘অপারেশন ২৬’ নামে একঘন্টাব্যাপী এ অভিযানে র‌্যাব ও পুলিশের অন্তত ১০০০ সদস্য অংশ নেয়। ওই অভিযানে ৯ জন নিহত হয় এবং পালানোর চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১ জনকে পুলিশ আটক করলেও, আরেকজন পালিয়ে যায়।

মনিরুল ইসলাম তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন,

“কল্যাণপুরে জঙ্গী আস্তানায় অভিযানকালে সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড নিক্ষেপে পুলিশের ৪ কর্মকর্তার মৃত্যু, আহত ৪২ কর্মকর্তা, তিন জঙ্গী গ্রেফতার হলেও বাকীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে!”

দুঃখিত, বন্ধু, এ রকম একটা খবর যদি আপনি আশা করে থাকেন তাহলে আমরা আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি নি! প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় আপনি যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমরা সত্যিই দুঃখিত!

“নাম-ঠিকানা না জেনে জঙ্গী বলছেন কিভাবে?” “জঙ্গীরা এ রকম পাঞ্জাবি, কেডস পরে ঘুমাতে গিয়েছিল কেন?” “৪টি পিস্তল দিয়ে কিভাবে সারারাত মূর্হূ মূর্হূ গুলি চালানো সম্ভব?” “কেন তাদের জীবিত ধরা গেল না?” এ রকম অনেক যৌক্তিক প্রশ্ন কারো মনে আসতেই পারে।

আমি যদি বলি আপনি বুঝে ও না বোঝার ভান করছেন আপনি খন্ডাবেন কি করে? গোটা সোস্যাল মিডিয়া জুড়ে আলোচনা হচ্ছে যে প্রতিবশীরা বলছে, ঐ বাসার লোকেরা সারারাতই কথিত জিহাদের স্বপক্ষে শ্লোগান দিয়েছে, তাদের রুমে কথিত আইএসের পতাকা পাওয়া গিয়েছে, প্রচুর সংখ্যক উগ্রবাদী বইপুস্তক পাওয়া গেছে। তারপরও এরা জঙ্গী কিনা তা বোঝার জন্য কি রিসার্চের প্রয়োজন আছে?

আনুমানিক রাত একটার কাছাকাছি পুলিশের প্রথম দলটি বাসাটিতে নক করে এবং প্রথম দফা সংঘর্ষের পরে প্রায় সারারাত বিল্ডিংটা কর্ডন করে রাখা হয়। চূড়ান্ত অভিযান শুরু হয় ভোর ৫.৫০ এর দিকে। এতদীর্ঘ সময় তারা ঘুমিয়ে ছিল কিনা, এই পোষাক পরার সময় পেয়েছিল কিনা তা বোঝার জন্য বুদ্ধিজীবী হওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা দয়া করে ভেবে দেখবেন কি?

সারারাত মূর্হূ মূর্হূ গোলাগুলি হয়েছে এ রকম কোন তথ্য আমার জানা নাই। আমি যতটুকু জানি যখনই পুলিশ বাসাটিতে ঢুকতে চেষ্টা করেছে ততবারই গুলি চালানো হয়েছে। চূড়ান্ত অভিযান হয়েছে একঘন্টার কাছাকাছি। ঐ সময়েই মূলতঃ চূড়ান্ত গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। আপনার বিশ্বাস এ তথ্য আপনার অজানা নয়। তাহলে কেন এ রকম প্রশ্ন তুলছেন? পুলিশের সাফল্য মানতে পারছেন না তাইতো!

আপনি তো সবজান্তা অথচ আপনি এই ধরনের অপারেশন গুলোর ইতিহাস জানেন না। দেশে এবং দেশের বাইরে কোথায় এই ধরনের অপারেশনে কতজন জীবিত গ্রেফতার হয়েছে জানালে বাধিত হবো।

আসলে, পুলিশের কেউ মারা যায় নি কিংবা কেউ গুরুতর আহত হয় নি-এতেই তো আপনার যতো আপত্তি তাই না, বন্ধু!

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত