ডাক্তারা পেয়েছেন যৌনক্রিয়ার আলামত!!

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০১৬, ১২:০৩

তনু ধর্ষণ হয়েছে নাকি স্বাভাবিক যৌনক্রিয়া ঘটনা ঘটেছে সে রকম একটি প্রশ্ন তুলেছে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা। কি অদ্ভুত!!!

ডিএনএ প্রতিবেদনে একাধিক পুরুষের বির্য পাওয়া গেছে বলে জানাগেছে। কিন্তু ডাক্তারা পেয়েছেন যৌনক্রিয়ার আলামত!! এই রিপোর্টটি যে নতুন ষড়যন্ত্র তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ রকম কোনো কিছুই তারা পাননি। সিআইডি যখন ডিএনএ প্রতিবেদনের কথা জানালো তখন তারা পেল ঠিকই কিন্তু ভিন্নভাবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হয় যে, এটি ভিন্নখাতে প্রবাহের একটি প্রক্রিয়া।

তাছাড়া অধিকাংশা ক্ষেত্রেই ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া অনভিজ্ঞদের দ্বারাই সম্পন্ন হয়। কেননা- 

১) যারা ময়না তদন্ত করেছেন তারা অভিজ্ঞ নন। এমনকি শিক্ষা জীবনে কেউই লাশকাটা ঘরে কাজ করেননি। তারা ছিলেন ডোম নির্ভর আর তাদের শিক্ষকরা কোনো ভূমিকা ছাড়াই তাদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেয়ে দিয়েছেন।
তাছাড়া অধিকাংশা ক্ষেত্রেই ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া অনভিজ্ঞদের দ্বারাই সম্পন্ন হয়। কেননা- তু এরা তা পৃথক করতে না পারার অর্থ অনভিজ্ঞতা।

৩) প্রথম প্রতিবেদনের সাথে দ্বিতীয় প্রতিবেদনের ভিন্নতা থেকে প্রমাণীত হয় শুরু থেকেই ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এ ধরনের কাজ কখনওই কোনো পেশাদার ডাক্তার করতে পারেনা।

যাই হোক অপরাধ কে আড়াল করার সুযোগ নেই। এখনও উপায় আছে। সিআইডির ডিএনএ প্রতিবেদন দিয়ে অপরাধী সনাক্ত করা এবং সুরতহাল প্রতিবেদন এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।

শুধু ধর্ষক-হত্যাকারীদের নয় যারা ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেয়েছে-চাচ্ছে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সবার আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নিতে হবে কুমিল্লার চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। লুটপাটের মহামৌসুমে তারা কতটা উদ্যোগী হবে সেটিও ভাবনা।

তাকিয়ে আছি সম্মুখপানে-সর্বশেষ পরিণতি দেখতে।।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত