উগ্র হিন্দুত্ববাদ এদের একমাত্র হাতিয়ার!

যারা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে, ব্রিটিশ এজেন্টের কাজ করেছে, গান্ধিজিকে হত্যা করেছে তারা এখন ভারতীয় জাতিয়তাবাদের বদলে হিন্দু জাতিয়তাবাদ চাপিয়ে দিতে চাইছে গোটা দেশে। উগ্র হিন্দুত্ববাদ এদের একমাত্র হাতিয়ার।

মোদির নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসে তারা প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাকেন্দ্র ও গবেষণা কেন্দ্রগুলি দখল করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউট, ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর হিস্টোরিকাল রিসার্চ ইত্যাদি সংস্থায় ইতিমধ্যেই আরএসএস তাদের প্রচারকদের শীর্ষে বসিয়েছে। আর একটি উৎকর্ষ কেন্দ্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখন তারা দখল নিতে ষড়যন্ত্র করছে।

ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের প্রতিনিধি হিসেবে গভর্নিং কাউসিলে উত্তরপ্রদেশের এক প্রচারককে বসিয়ে দিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি বহিরাগতদের নিয়ে ওদের ছাত্র শাখার নামে যেভাবে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি ও মারপিট করেছে, তার নিন্দায় সর্বস্তরের মানুষ ধিক্কার জানিয়েছেন। আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছাত্রীদের সম্পর্কে যে অশালীন ও কুরুচি সম্পন্ন মন্তব্য করেছে তা লেখার অযোগ্য।

দুশ বছর ধরে যে বাংলায় মানুষ বহুত্ববাদের চর্চা করেছেন, মহামতি লালন থেকে রবীন্দ্রনাথ বিবিধের মাঝে সম্মিলনের বার্তাপ্রচার করেছেন, সেই বাংলায় হিন্দুত্বের নামে সমাজটাকেই ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আরএসএস ও তার শাখা সংগঠনগুলি। সবার কাছে আবেদন, এই কুৎসিত জঙ্গী হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার হোন। পথে নামুন। গোবলয়ের সংস্কৃতি যেন আমাদের সৌভ্রাতৃত্বের পরিবেশ ধ্বংস করতে না পারে।

রতন বসু মজুমদার এর ফেসবুক থেকে