পেটে গজ, এক বছর পর অস্ত্রপচার

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:১৭

সাহস ডেস্ক

বরিশালে একটি হাসপাতালে রোকসেনা বেগম নামের এক রোগীর অ্যপেন্ডিসাইটিস অস্ত্রোপচারের সময় পেটে গজ রেখেই সেলাই করেছেন বলে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় এক বছর পর পুণরায় অস্ত্রপচার করে সেই গজ বের করা হয়েছে।

রোগী রোকসেনা বরগুনার আমতলীর গুলিশাখালী হালিমা খাতুন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোকসেনার পরিবার সূত্র জানায়,  রোকসোনা ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর অ্যপেন্ডিসাইটিস সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল অ্যাডভোকেট হেমায়েত উদ্দিন ডায়েবেটিক ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (শেবাচিম) সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এ এম এস এম সারফুজ্জামান রুবেল তার অস্ত্রপচার করেন। অস্ত্রপচারের সময় রোকসেনার পেটের ভেতর গজ রেখে ওই চিকিৎসক সেলাই দেন।

রোকসেনার স্বামী মো. মাহবুব উল আলম বলেন, বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক শাহানা আক্তারের শরণাপন্ন হই। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অস্ত্রপচার শেষে আমার স্ত্রীর পেটের ভেতরের গজ বের করেন এবং অন্ত্রে অস্ত্রপাচার করেন। চিকিৎসক সারফুজ্জামান রুবেলের গাফলতিতে আমার স্ত্রী এখন ঢাকার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমি স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছি। আমি ওই চিকিৎসকের শাস্তি দাবী করছি।

অভিযুক্ত সারফুজ্জামান রুবেল মুঠোফোনে বলেন, অস্ত্রোপচার করেছি। অস্ত্রোপচার করার সময় পেটের ভেতর গজ থাকতে পারে। ওই রোগীর পরিবার চাইলে চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহন করা হবে।

বরিশাল অ্যাডভোকেট হেমায়েত উদ্দিন ডায়েবেটিক ও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আবু জাফর  বলেন, চিকিৎসক সারফুজ্জামান রুবেল ওই রোগীর অপারেশন করেছেন কিন্তু পরবর্তিতে কি হয়েছে তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবগত নয়।

৮ জানুয়ারি (সোমবার) চিকিৎসক শাহানা আক্তার জানান, চিকিৎসকের অসাবধানতার কারনে পেটে গজ ছিল। ওই রোগীর পেটের ভেতরে গজ পঁচে অন্ত্র ছিদ্র হয়েছে। ওই অন্ত্রে অস্ত্রপচার শেষে কলেস্টমি (বিকল্প পায়ূপথ) তৈরি করা হয়। রোগী রোকসেনা আমার তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সাহস২৪.কম/জুয়েনা/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত