ওষুধ রপ্তানির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০১৭, ১৩:৪৮

সাহস ডেস্ক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশে উৎপাদিত ওষুধ রপ্তানির পরিমাণ ও দেশের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি আজ মঙ্গলবার (৬ জুন) সংসদে জাসদের বেগম লুৎফা তাহেরের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল বিশ্বের ১২৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রয় ও উৎপাদনকারী ফার্মেসী ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর বিরুদ্ধে সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনী সর্বদাই সচেষ্ট রয়েছে এবং এ ব্যাপারে সরকার কঠোরতা অবলম্বন করছে।

মন্ত্রী বলেন, সরকারের আন্তরিকতা ও উদারনীতির ফলে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প অন্যতম শিল্প সেক্টরে পরিণত হয়েছে। দেশীয় চাহিদার শতকরা ৯৮ ভাগের বেশি ওষুধ বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়।

তিনি বলেন, গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রয় ও উৎপাদনকারী ফার্মেসী ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত ২ হাজার ৭৭৫টি মামলা দায়ের করে ৭ কোটি ৪৩ লাখ ৬ হাজার ১শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ সময় ৬৬ জন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে, ৩৮টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে এবং আনুমানিক ১৮ কোটি টাকার ওষুধ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ভেজাল ও নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি করার দায়ে বিভিন্ন ফার্মেসী ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর বিরুদ্ধে ড্রাগ কোর্টে ৪৭টি এবং ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ৬৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস (জিএমপি) গাইডলাইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় এবং ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে এ পর্যন্ত ৮৬টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল এবং ১৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত