সহ্যের বাঁধ ভেঙে রামেক ছাড়ছেন রোগীরা

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০১৭, ১৮:২৫

বেবি বেগমের হাঁটার মতোও শক্তি নেই। সোমবার দুপুরে ট্রলিতে করে তাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে দিয়ে বের করা হলো। সিএনজি অটোরিকশায় তোলার সময় কথা হলো তার স্বামী খোদাবক্স মৃধার সঙ্গে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে খোদাবক্স জানালেন, তাদের বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার মোমিনপুর গ্রামে। এক সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী ব্রেইন স্ট্রোক করেন। এরপর তাকে হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কিন্তু গত শনিবার থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার কোনো নাম নেই। এবার সুস্থ্যতার পরিবর্তে অসুস্থ্য হয়ে যাচ্ছিলেন বেবি। তাই অসুস্থ্য রোগির ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন তারা।

একইভাবে হাসপাতালে চিকিৎসা না পাওয়ার কথা জানালেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কমেলা বেগম।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার ইন্টার্ন চিকিৎসককে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া শাস্তির প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে একাত্মতা প্রকাশ করে শনিবার সকাল থেকে ৭২ ঘন্টার কর্মবিরতি শুরু করেন রামেকের ইন্টার্নরাও। ফলে হাসপাতালে ভেঙ্গে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।

রোগিদের এই ভোগান্তির কথা স্বীকারও করলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ভোগান্তি তো কিছুটা হবেই। প্রায় এক হাজার ৮০০ রোগির সেবা নিশ্চিত করতে আমাদেরও অনেক সমস্যা হচ্ছে। তারপরেও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত