শিশুর ফুড পয়জনিং হলে যা করবেন

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:৩৮

সাহস ডেস্ক

খাদ্যে বিষক্রিয়া আর ভেজালের এই সময়ে ফুড পয়জনিং আমাদের কাছে এখন অতি পরিচিত একটি শব্দ।  শুধু বড়রাই যে ফুড পয়জনিং এ ভুগে থাকে বা ভুগছে তা কিন্তু নয়, হরহামেশাই ছোট্ট সোনামণিরাও আক্রান্ত হচ্ছে ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়ায়। আর শিশুদের শরীর যেহেতু আরো বেশি সংবেদনশীল তাই শিশুর ফুড পয়জনিং এর ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়াটা জরুরী অবশ্যই।

# কখন ডাকবেন ডাক্তার?
শিশুর ফুড পয়জনিং এর ব্যাপারটি অনেক সময় কিছুটা যত্ন নিলে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সেরে যায়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া তখনই জরুরী হয়ে পড়ে যখন শিশুর ফুড পয়জনিং থেকে আরো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়।

# উপসর্গগুলো:
• ১০৩ ডিগ্রী উপরে জ্বর থাকা।
• তিন দিনের বেশি বমি হতে থাকা।
• খুব বেশি পেটে ব্যথা হওয়া।
• বমির সাথে কিংবা পায়খানার সাথে রক্ত বের হওয়া।
এসব কিছু দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরী হয়ে পড়ে। এসব অবস্থা কখনই অবহেলা করতে নেই।

কী করে রেহাই পাবেন ফুড পয়জনিং থেকেঃ
ফুড পয়জনিং থেকে শিশুকে তথা পরিবারের সবাইকে বাঁচাতে যেসব পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ
• শিশুর জন্য খাবার তৈরী করার পূর্বে সাবান দিয়ে ভালোমতো হাত ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। শিশুকেও বাথরুম থেকে আসার পর এবং খেতে বসার আগে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে শিক্ষা দিন ছোটবেলা থেকেই।
• যেকোন ধরনের মাংস বা মাছ রান্না করার আগে ভালোমতো ধুয়ে নিন।
• শিশুকে বাসি খাবার কখনোই খেতে দেবেন না। এছাড়া রেফ্রিজারেটরে বেশিদিন রাখা খাবারও শিশুকে খাওয়ানো উচিত নয়।
• এমন কোন খাবার শিশুর জন্য ব্যাবহার করবেন না যা দেখে কিংবা গন্ধ শুকে অস্বাভাবিক মনে হয়।
• প্যাকেটজাত খাবার কেনার আগে অবশ্যই উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ দেখে নিয়ে তারপর কিনুন।
• বাইরের খাবার ফ্রিজারে সংরক্ষন করুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। বাইরে থাকলে তা খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
• নিশ্চিত করুন আপনার রান্না করা খাবার খুব ভালোভাবে রান্না করা হয়েছে এবং এতে কোনকিছু কাঁচা নেই। গরুর মাংস রান্নার সময় অন্তত ১৬০ ডিগ্রী ফারেনহাইটে রান্না করুন। মুরগী ও মাছের বেলায় এর তাপমাত্রা হতে হবে যথাক্রমে ১৮০ ও ১৪০ ডিগ্রী ফারেনহাইট।
• শিশুকে কখনই অপাস্তুরিত বা কাঁচা দুধ, পনির, মাংস খেতে দেবেন না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত