তিন জেলায় নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০১৮, ১৭:৩০

সাহস ডেস্ক

হবিগঞ্জে বিপদসীমার ওপরে খোয়াই নদীর পানিহবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও ফেনীতে বেশ কয়েকটি নদীতে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে এসব নদীর পানি আরও বাড়ছে। নদীর পানি উপচে বেশ কয়েক জায়গায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

হবিগঞ্জ:
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জ শহর ঘেঁষে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ১৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নদীর পানি বাড়তে থাকে। ফলে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে হবিগঞ্জ শহরসহ আশপাশের গ্রামগুলো।

মৌলভীবাজার:
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মনু নদী এবং কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গ্রামবাসীরা বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৩ জুন) মনু নদীর পানি বিপদসীমার ১৭৫ সেন্টিমিটার এবং ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে মঙ্গলবার (১২ জুন) মনু নদীর পানি বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার এবং ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

ফেনী:
অতিবৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মহুরী নদীর বাঁধের আটটি অংশ ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে এই দুই উপজেলার বহু রাস্তাঘাট, ফসলি জামি, বাড়িঘর ও মৎস্য খামার পানিতে তালিয়ে গেছে। ফুলগাজি বাজারে নদীর পানি ঢুকে বাজারের দোকানপাটের বেশিরভাগ মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বুধবার (১৩ জুন) ভোরে নদীর পানি বিপদসীমার তিন মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বাঁধগুলো ভেঙে যায়।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কহিনুর আলম বলেন, ‘নদীর বাঁধের পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের দুটি অংশ ও ফুলগাজি উপজেলা সদরের উত্তর দৌলতপুর, ধনিমুড়া, বৈরয়া ও বনিক পাড়া অংশের বাঁধ ভেঙে যায়। বাঁধের ফাটলস্থানে পানির স্রোতের কারণে বাঁধের কাজ করতে পারছেন না তারা। বাঁধ ভেঙে কতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে সে বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে জানার চেষ্টা করছি।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত