দেশেই তৈরি হবে বিশ্বমানের এলপি গ্যাস সিলিন্ডার

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০১৬, ২০:০৭

সাহস ডেস্ক

ইরানের সহায়তায় দেশে প্রথমবারের মতো লিকুইফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার, শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের ট্যাংক এবং বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি ও যানবাহনে ব্যবহৃত সিলিন্ডার উৎপাদন করতে যাচ্ছে স্টার ইনফাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কনসোরটিয়াম লিমিটেড।

সোমবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ইরানের সারভিগাস কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কোম্পানিটি।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজি, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খান, ইরানের সারভিগাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার রাবিই ও স্টার ইনফাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কনসোরটিয়াম লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুর আলি।

অনুষ্ঠানে মাতলুব আহমাদ বলেন, বর্তমানে দেশে ৬টি কোম্পানি এলপি গ্যাস উৎপাদন করছে। আগামীতে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও ৬০টির মতো কোম্পানি এলপিজি উৎপাদনে আসছে। এসব কোম্পানিকে এলপিজি সরঞ্জাম অর্থাৎ এলপিজি সিলিন্ডার, এলপিজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্টোরেজ ট্যাঙ্ক, গৃহস্থালি ও যানবাহনে ব্যবহৃত সিলিন্ডার উৎপাদন ও সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি সিলিন্ডার ট্যাঙ্ক বহনের জন্য বড় আকারের বুলেট  ট্রাকও আমদানি করা হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ১২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে কোম্পানি দুটি যৌথভাবে উৎপাদনে আসবে। আগামী ১ বছরের মধ্যে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন মাতলুব।

মাতলুব বলেন, আন্তর্জাতিক মানের সিলিন্ডার উৎপাদনে মাধ্যমে দেশের মানুষকে আরও কম খরচে গ্যাস সরবরাহ করার লক্ষে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি।

কারখানা কোথায় স্থাপিত হবে সেটি এখনো নির্দিষ্ট না হলেও নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও, কিশোরগঞ্জ ও মংলাকে সম্ভাব্য স্থান হিসেবে বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, কারখানা কোথায় হবে- তা ইরানের কারিগরি দলের সঙ্গে পরামর্শ করে ঠিক করা হবে।

এ সময় মাতলুব সরকারের কাছে ভারত ও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনের প্রধান উপকরণ- স্পেশাল স্টিল, রেগুলেটর ও ভাল্ব আমদানিতে ৩ বছরের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা চান।

এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, এ বিষয়ে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। আপনাদের শুল্কমুক্ত দাবিকৃত পণ্যগুলোর এইচএস কোডসহ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠালে এ বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের নামে দেশকে যখন অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে, ঠিক তখনই ইরানের এতো বড় অঙ্কের বিনিয়োগ প্রমাণ করে- কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত