বেনাপোলে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০১৮, ১৩:০৬

সাহস ডেস্ক

২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১২শ কোটি টাকা বেশি।

বুধবার (১১ জুলাই) সকালে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিষয়টি জানান বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পরিসংখ্যান শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহাবুব হোসেন।

এর আগে গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এতে ঘাটতি ছিল ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এসময় ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৮ লাখ ২ হাজার ২৮৪ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি হলেও এখানকার অবকাঠামো উন্নয়ন ও অনিয়ম নিয়ে সংশিষ্ট  কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় চরম হতাশার মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্য বন্দরের চেয়ে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্যে অতিরিক্ত মূল্যে শুল্কায়নের কারণে এপথে আমদানি কমছে।

আমদানিকারক ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী জানান, কাস্টমসের অযথা হয়রানি, টেবিলে ঘুষ আর বন্দরে নিরাপত্তা সমস্যার কারণে গতবার রাজস্ব আদায়ে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এবার এসব সমস্যা সমাধান করতে না পারলে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনিশ্চিত হবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বন্দরের উন্নয়নের চিত্র প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। যা আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে মারাত্মভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এতে এপথে বাণিজ্যে আগ্রহ হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্য বাড়াতে উন্নয়নের বিকল্প নেই।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন বলেন, গত দু'দশকে বেনাপোল বন্দরে আটটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা শত শত কোটি টাকা লোকসানের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় ক্ষতিপূরণ না পেয়ে অনেকের ব্যবসা বন্ধ হয়েছে। এপথে আমদানি বাণিজ্যের গতিশীলতা বাড়াতে হলে পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত