পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় বেড়েছে

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০১৬, ১২:৫১ | আপডেট: ১৫ জুন ২০১৬, ১২:৫৭

অনলাইন ডেস্ক

২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কিছুটা বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় আলোচ্য সময়ে কাঁচা পাট রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়লেও কমেছে পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জুন মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে আয় হয়েছিল ৭৯ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ১১ মাসের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৫ কোটি ৪৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে ৮২ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের ১১ মাসের তুলনায় পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১১ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ কোটি মার্কিন ডলার।

ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৪ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৮ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৪ শতাংশ ১৭ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে।

এতে জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পাটের সুতো ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫০ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের তুলনায় এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছে।

আলোচ্য সময়ে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার।

ইপিবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় শূন্য দশমিক ০৭ শতাংশ কমেছে।