প্রয়াণ দিনের স্মরণাঞ্জলি

কবি সমুদ্র গুপ্ত

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০১৮, ১০:৪০

১.
দ্রোহের কবি, সাত সমুদ্রের কবি, মুক্তিযোদ্ধা কবি সমুদ্র গুপ্ত, আমাদের প্রবল আড্ডাপ্রিয় স্বজন সমুদ্রদা। অন্যায়-অসুন্দর-বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনি চিরটাকাল লড়েছেন, ক্ষুরধার কলম চালিয়েছেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন, সেটাই বলতেন, তা-ই করতেন এবং লিখতেনও অকপটে। ২০০৮ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। উল্লেখ্য যে, কবি সমুদ্র গুপ্তের জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ জুন সিরাজগঞ্জে। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নিয়ে প্রমাণ করেছেন শুধু কলম হাতে নয়; অস্ত্র হাতেও যুদ্ধ করার অসামান্য সাহসী যোদ্ধা তিনি। দেশ স্বাধীন হলেও-স্বাধীনতার সুফল-স্বাদ সর্বস্তরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে স্পর্শ করতে পারেনি। জনগণের মুক্তির জন্য কমিউনিস্ট সমুদ্র গুপ্ত বেছে নিয়েছিলেন গোপন রাজনীতির ভিন্ন পথ ও পন্থা। দেশের সমস্ত প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে প্রতিবাদীর প্রথম কাতারে তিনি থেকেছেন সাহসী যোদ্ধারূপে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রসহ সংস্কৃতির নানা অঙ্গণে সমুদ্রদার সাথে জম্পেস আড্ডার অনেকস্মৃতি আজ মনে ভাসছে।

২.
আমাদের অনেকের প্রিয় মানুষ সমুদ্রদা আপাদমস্তক কবি ছিলেন।মেহনতি মানুষের মুখপাত্র ছিলেন, ছিলেন শিল্পকে হাতিয়ার করা শ্রেণিযোদ্ধা। আপনজনের কাছে, মাঝে তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন, মানবিক মানুষ ছিলেন। সদাহাস্য, সদাপরিহাসপ্রিয়, সদাবিদ্রোহী অনাবিল মানুষ ছিলেন। তাঁর বন্ধুভাগ্যও ছিলো ঈর্ষণীয়। আবার তাঁর জীবনাচরণে একজন সমুদ্র গুপ্তের নামের আড়ালের আবদুল মান্নান বাদশা কখনো প্রকাশিত হয়নি। মেয়েদের নাম রেখেছেন নীল সমুদ্র ও স্বপ্ন সমুদ্র। আচারসর্বস্ব ধর্মকর্মে তাঁর বিশ্বাস ছিল না। তাঁর বিশ্বাস ছিল সততায়, উদারতায়, মানবিকতায়। 'তদবিরে তকদির' নীতিতে অবিশ্বাসী কবি সমুদ্র গুপ্ত। সমুদ্রের মতো বিশাল ছিল তাঁর হৃদয়। সর্বার্থেই গুপ্ত ছিল তাঁর বৈষয়িক চাওয়া-পাওয়া ও লোভ-লালসার আকাকঙ্ক্ষ। আর্থিক দারিদ্র্যে কেটেছে তাঁর সংসার। কিন্তু মানসিক দৈন্য তাঁর ছিল না। হৃদয় দিয়ে কবিতা লিখেছেন। কবিতাই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে। 

৩.
সম্প্রতি প্রিয় মানুষ, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা কাওসার ভাই (Kawsar Chowdhury) ‘পদ্মা পাড়ের স্মৃতি’তে খুউব সুন্দর করে কবি সমুদ্র গুপ্তকে স্মরণ করে লিখেছেন, ‘পদ্মাকে বহুদিন বহুরূপে দেখেছি বহুবার! কিন্তু সাধ মেটেনি পদ্মা দর্শনের! যতবার যতদিকেই পদ্মার কাছে গিয়েছি- সাধ হয়েছে পদ্মার জলে অবগাহন করার। প্রয়াত কবি সমুদ্র ’দা (সমুদ্র গুপ্ত) নাকি বাঙলার ৩০০ নদীর জল স্পর্শ করেছিলেন সংকল্প করে! এই ৩০০ নদীতে তিনি অবগাহনও করেছিলেন। সার্থক কবি-জীবন। এমন না হলে কি আর কবি হওয়া যায় বলুন! ’ গবেষক তপন বাগচীর ভাষায় তিনি ছিলেন ‘আধুনিক এক চারণ কবি’। আরো সুন্দর করে তপনদা বলেছেন, ‘লোকটি কবি ছিলেন। কবি ছাড়াও লোকটি ভালো মানুষ ছিলেন। … আর্থিক দারিদ্র্যে কেটেছে তাঁর সংসার। কিন্তু মানবিক দৈন্য তাঁর ছিল না। হৃদয় দিয়ে কবিতা লিখেছেন। কবিতাই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে।’ 

৪.
কবির জন্ম সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার প্রত্যন্ত গ্রাম হাসিলে। পিতা মোহসিন আলী ও মাতা রেহানা আলীর সাত ছেলে ও একমাত্র মেয়ের মধ্যে পঞ্চম কবি সমুদ্র। ডাক নাম বাদশা। প্রাতিষ্ঠানিক নাম আব্দুল মান্নান। পিতার কর্মসূত্রে দেশের ষোলটি জেলার স্কুলে পর্যায়ক্রমে তাকে পড়তে হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক নাম এড়িয়ে সমুদ্র গুপ্ত ছদ্মনামে কবিতা লিখতেন। ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে সমুদ্র গুপ্ত ছদ্মনামে কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কলাম লিখেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক নামকে ছাপিয়ে ছদ্মনামেই তিনি খ্যাতিমান হয়ে যান। কালের গর্ভে হারিয়ে যায় প্রাতিষ্ঠানিক নামটি। কর্মজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি ছিলেন প্রেসের কর্মচারী, করাতকলের ম্যানেজার, জুটমিলের বদলি শ্রমিক, উন্নয়ন সংগঠনের নির্বাহী, ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবসা, প্রুফ রিডার, সাংবাদিকতা, পেশাদার লেখক এবং সর্বোপরি কবি। 

৫.
মুক্তবুদ্ধির কবি সমুদ্র ১৯৬৮ সাল থেকেই সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ‘দৈনিক আওয়াজ’, ‘দৈনিক সংবাদে’র খেলাঘর পাতা, ‘দৈনিক আজাদে’র মাহফিল, অর্ধসাপ্তাহিক ‘পাকিস্তান’, ‘সাপ্তাহিক নতুন দিন’, ‘ডেইলি মেইল’, ‘সাপ্তাহিক গণশক্তি’, ‘ডেইলি পিপল্স’, ‘মাসিক কপোত’সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধা কবি সমুদ্র গুপ্ত ‘দৈনিক গণকণ্ঠ’, ‘সাপ্তাহিক জনমত’, ‘চরমপত্র’, ‘দৈনিক বাংলার মুখ’, ‘দৈনিক বঙ্গবার্তা’, ‘দৈনিক গণবাংলা’, ‘দৈনিক দেশ’, ‘ডেইলি নিউজ’, ‘সাপ্তাহিক রিপোর্টা’র, ‘পাক্ষিক স্টেডিয়াম’ পত্রিকায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭২ সাল থেকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। সাংবাদিকতা পেশা ত্যাগ করে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি করেছেন। কোথাও একনাগাড়ে চাকরি করা তার পক্ষে সঙ্গত কারণেই সম্ভব হয়নি। নীতির প্রশ্নে অবিচল থাকার পরিণতিতেই তাকে একের পর এক চাকরি বদল করতে হয়েছে। এজন্য নানা দুর্ভোগের শিকারও হয়েছেন। কিন্তু লক্ষ্যচ্যুত হননি।

৬.
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ : রোদ ঝলসানো মুখ, স্বপ্নমঙ্গল কাব্য, এখনো উত্থান আছে, চোখে চোখ রাখে, একাকী রৌদ্রের দিকে, শেকড়ের শোকে, ঘাসপাতার ছুরি, সাত সমুদ্র নদীও বাড়িতে ফেরে, ছড়িয়ে ছিনিয়ে সেই পথ, চলো এবার গাছে উঠি, হাতে হাতে তুলে নিলে এই বাংলার মাটি রক্তে ভিজে যায়, তাহলে উঠে দাঁড়াব না কেন, খালি হয়ে গেছে মাথা শুধু ওড়ে। প্রবন্ধগ্রন্থ : ডিসেম্বরের রচনা। সম্পাদনা গ্রন্থ: বাংলাদেশে বঙ্কিম অন্যান্য। কবি সমুদ্র গুপ্ত নিজেকে সম্পূর্ণ একজন সত্যিকার কবিরূপে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর এই কারণেই তিনি তার সৃষ্টিশীল শিল্প-সাহিত্যকর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন। কবিতার জন্য হুমায়ুন কবির পুরস্কার, যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, কবি বিষ্ণু দে পুরস্কার (ভারত)। ভারতের ত্রিপুরা সরদার প্রদত্ত ভাষা দিবসসহ অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

৭.
প্রিয়জনের স্মৃতিতে নির্লোভ-নির্মোহ লড়াকু কবির নাম সমুদ্র গুপ্ত। অর্থ-বিত্তের প্রলোভন তো পরের কথা, তোয়াক্কা পর্যন্ত কখনো করেননি। লড়াই করে বেঁচে থাকার কঠিন পথটি অবলম্বন করেই বেঁচেছিলেন। সবাইকে সেই পথেই উদ্বুদ্ধ করেছেন। আপস বা আত্মসমর্পণ না করে আত্মমর্যাদাবান সমুদ্র গুপ্ত চিরকাল নীতি-আদর্শ এবং মতাদর্শিক দর্শনে ছিলেন অবিচল। মার্ক্সবাদী মতাদর্শী কবি সমুদ্র গুপ্ত সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিবর্তনে আজীবন লড়াই করেছেন। বুর্জোয়া রাজনীতির অপকীর্তির বিরুদ্ধে কলাম লিখেছেন, সভা-সমাবেশে বলেছেন, কবিতা তো লিখেছেনই। শাসক শ্রেণির চিহ্নিত শত্রুতে পরিণত হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মুক্তির লক্ষ্য থেকে সামান্য বিচ্যুত হননি। নীতি-আদর্শ ত্যাগ করে গতানুগতিক প্রচার-প্রতিষ্ঠা পেতে চাননি বলেই লড়াকু কবি সমুদ্র সকলের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার প্রিয় মানুষে পরিণত হতে পেরেছিলেন। 

৮.
অভাব-অনটনের সহযাত্রী সমুদ্র গুপ্ত অর্থ-বিত্তের কাছে মাথা বিক্রি বা ভাড়া কোনোটি দেননি। আত্মমর্যাদাবান সমুদ্র গুপ্ত তাই আজীবন মাথা উঁচু করে, মেরুদণ্ড সোজা রেখেই চলেছেন। তার অকালপ্রয়াণে দেশজুড়ে অগণিত মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন। এমন অভিব্যক্তিময় ভালোবাসা সচরাচর দেখা যায় না। মানুষ সমুদ্র এবং কবি সমুদ্রের মধ্যে কোনরূপ বৈপরীত্য দেখেননি তাঁর স্বজনেরা। তিনি মানুষকে অধিক ভালোবাসতে পেরেছিলেন বলেই মানুষের সার্বিক মুক্তির জন্য আজীবন ন্যায়নিষ্ঠ থেকে লড়াই করে গেছেন। মানুষের উদ্দেশে-মানুষের জন্য তিনি লিখেছেন, ‘মানুষের কাছাকাছি বসি/ঘামের গন্ধের সাথে উষ্ণতাও পাবো/মানুষের কাছাকাছি বসি/হিংসা ও ঘৃণার সাথে ভালবাসা পাবো/মানুষের কাছাকাছি বসি/দুঃখময় স্মৃতির সাথে স্বপ্নও পাবো/এসো/এই অকাল শীতে/মানুষের কাছাকাছি বসি/ঘামের গন্ধের সাথে উষ্ণতাও পাবো।’ আবার, ‘লজ্জা’ কবিতায় লিখেছেন, ‘যদি স্বাধীন হও তাহলে যুদ্ধ করো/আরো বেশি স্বাধীনতার জন্য তুমি যুদ্ধ করো/যদি পরাধীন হও তাহলে যুদ্ধ করো/মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য তুমি যুদ্ধ করো/প্রত্যেক মানুষ যেমন মানব সন্তান/স্বাধীনতা চিরকাল যুদ্ধের জাতক/কি লজ্জা! শরীরে যৌবন নিয়ে আমরা এখনো পরাধীন।’ প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রোদ ঝলসানো মুখ’-এর শেষে লিখেছিলেন, ‘আমাদের ঐক্যই আমাদের বিজয়ের প্রথম শর্ত। বন্ধুগণ, এসো আমরা নিজেদের মধ্যকার হানাহানি-খুনোখুনি বন্ধ করে পরস্পর জোটবদ্ধ হই। কমরেডগণ, ঐক্যই শক্তি এবং আমাদের অখণ্ড ঐক্যই-আমাদের বিজয় এনে দেবেই’।

৯.
এবার কবি সমুদ্র গুপ্তের আরো কয়েকটি কবিতা পাঠ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবো।
৯.২
পথ ধরে যায় কি কেউ, না কি
পথ ছাড়তে ছাড়তে যায়
আমরা তো কেউই ধরি না কিছু
তবু হাত কি কি ছড়ায়

বিশুদ্ধ পানের জল অবিশুদ্ধ হাত
কিভাবে কল্পনা করো তুমি
স্বাধীনতা উড়ছে আকাশে
নিচে কাঁদে ভূমি

ভূমির ওপরে হাঁটে দাঁড়িয়ে থাকে কেহ 
অনেকেরই পা নেই মাথা নেই
হাত পা কিছুই নেই শুধু আছে দেহ 
(কী কী আছে, কী কী নেই : সমুদ্রগুপ্ত )
৯.৩ 
প্রায়শঃই 
চিন্তা ও পায়ের চলার পথে দাগ দেখে চমকে উঠি 
আগে যেমন চমকে উঠে বিহ্বল ও হতাশ বোধ করতাম 
প্রায়শঃ দেখার ফলে এখন বিহ্বল হতাশা নিয়মে পরিণত 
চমকে ওঠার ভয় পাবার অসুখটা বোধ করি না 
তাহলে, এখন কি অভ্যন্তরভাগ নির্বোধে পরিণত

দাগগুলো অনড় অচল অপরিবর্তনীয় 
অনতিক্রম্য নিষেধনির্দেশ নিয়ে শুয়ে থাকে 
অভূতপূর্ব পরে রঙ নিয়ে, কখনো 
আবার ঘৃণার কুৎসিত বিপীয় বীভৎস রঙে 
দাগেরা চেহারা পাল্টায়

দাগের মালিক ও বেনিফিসিয়ারিগণ 
এইসব নিষেধ নির্দেশের দাগ তোয়াক্কাই করে না 
যাহার বা যাহাদের প্রতি প্রযোজ্য 
বোধ করি, দাগদের এমন ধারা জন্মবিধি আছে 
তবে- 
এমন রীতিও আছে নিষেধনির্দেশ ও আদেশের বেলায় 
যারা ভয় পায় না তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয়
(তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় : সমুদ্রগুপ্ত)
৯.৪
কতদূর পিছনে 
ফুটেছে অত উজ্জ্বল রঙধনু 
সাত কেন সাত কোটিতেও 
ফুরাবে না রঙ 
রঙের অশেষ বর্ণনা

এমনি উড়ে ভেসে যাও 
মেঘের ওপর দিয়ে 
পৃথিবী কেবলই রঙ চায় 
রঙের উৎস দু’পায়ে মাড়িয়ে যায়

কালো সাদা হরিৎ পীত বাদামী ক্ষীর 
অবনীর অজস্র পরিধির সর্বত্রই 
তুমি কোন রঙের মেয়ে 
আমরা তো কেবলই চিনি 
স্ত্রী কন্যা ভগিনী জায়া ও জননী 
(কোন রঙের মেয়ে : সমুদ্রগুপ্ত)

(রোগ শয্যায়, স্কয়ার হাসপাতাল, ঢাকা ২১ মে ২০০৮, অনুলিখন ফিরোজ আহসান)

১০.
রোদঝলসানো মুখের এক স্বপ্নবাদী কবির নাম সমুদ্র গুপ্ত। লেখক সাইফুদ্দিন সাইফুলের ভাষায় ‘প্রলম্বিত গোঁফ আর একঝাঁক কাশফুলের মতো সফেদ বাউল চুলের সমারোহ এবং কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ নিয়ে সদা প্রাণোচ্ছল একজন মানুষের নাম সমুদ্র গুপ্ত।’ স্বপ্নচারী কবি সমুদ্র গুপ্ত তার কবিতার মধ্যে আমাদের মাঝে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।

(তথ্যসূত্র : বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা)

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত