মঠবাড়িয়ায় পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০১৬, ১৬:১৩

সাহস ডেস্ক

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় সোমবারের সংঘর্ষের ঘটনায় পৌরমেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌসকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।

সংর্ঘষে নিহত ইলিয়াস হোসেন লিটন এর ভাই বাদি হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মঠবাড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রাজুর অবস্থা আশংকাজনক।

জানা যায়, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ক্ষমতাসীনদলের দুই জনপ্রতিনিধি গ্রুপের মধ্যে সোমবার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১ জন নিহত ও আরো ৪ জন গুলিবিদ্ধ সহ ১০ জন আহত হয়েছে। মঠবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক আশরাফুর রহমান গ্রুপের মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় কালী মন্দিরের সামনে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। উপজেলার সর্বোচ্চ ক্ষমতাসীন দুই নেতার গ্রুপের মধ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও গোলাগুলির ঘটনায় পুরো উপজেলা শহরে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে রয়েছে। গুলিবিদ্ধ ও আহতরা বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানাগেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, সোমবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার গুদিঘাটা বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল আহসান টুকুকে হাতুরি পেটা করে প্রতিপক্ষরা। নাজমুল রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌসের সমর্থক। নাজমুল আহত হওয়ার খবর পেয়ে মেয়র রফিউদ্দিনের সমর্থকরা হামলাকারীদের আশরাফুর রহমানের সমর্থক দাবি করে গুদিঘাটা এলাকায় গিয়ে আশরাফুর রহমানের সমর্থক আল আমিনকে কুপিয়ে জখম করে।

এ দুই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকে মেয়র রফিউদ্দিনের ও চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের গ্রুপ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা সদরে মহড়া দিতে থাকে। এক পর্যায় সন্ধ্যায় দু'পক্ষ মুখোমুখি সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়লে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ইলিয়াস হোসেন লিটন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রাজুসহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। লিটনকে মঠবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। দু'পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় চলা সংর্ঘষ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ সর্টগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। মৃত ইলিয়াস হোসেন লিটন যুবলীগ কর্মী বলে জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক মাতুব্বর। লিটনের বাড়ি পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে আশরাফুর রহমানের সমর্থকরা বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাদের গুলিতে তার সমর্থক ইলিয়াস হোসেন লিটন নিহত হয়। অপরদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের দাবী তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে পার্টি অফিসের সামনে দাড়িয়ে কথা বলছিলেন এমন সময় মেয়রের সমর্থকরা তাদের উপর অতর্কিত গুলি চালায়। লিটন তার সমর্থক।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত