গাইবান্ধায় বিপদসীমার ওপরে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটের পানি

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০১৬, ১৮:৫৫

ফরহাদ আকন্দ

গাইবান্ধা জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত চার নদীর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তা ও করতোয়ার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এতে করে নব-নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের ১০টি পয়েন্টে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।

অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধা জেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি আব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ব্রহ্মপুত্রের পানি ২৪ ঘণ্টায় ২২ সে.মি. বেড়ে বিপদসীমার ১৩ সে.মি. ও ঘাঘটের পানি বিপদসীমার ১৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ফুলছড়ি উপজলোর কামারজানি, মোল্লারচর, এ্যাডেণ্ডাবাড়ি, গজারিয়া, উড়িয়া, কাতলামারী, ভরতখালী, হলদিয়া, খলাইহারা, ফুলছড়ি, খঞ্চাবাড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকা।

এছাড়াও বন্যায় জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী ২২টি ইউনিয়নের ৭০টি গ্রামের ২০ হাজার পরিবারের ২ লাখ ৪০ হাজার বন্যা কবলিত মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ক্রমাগত বৃষ্টি আর বন্যা জনজীবনের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলছে। বাঁধে আশ্রিতরা চোর ডাকাতের ভয়ে থাকায় খোলা আকাশের নিচে গবাদী পশু নিয়ে রাত দিন পাহাড়া বসিয়েছে।

পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতাও বেড়েছে। পানি তোড় ও বৃষ্টির ফলে জেলার ১০টি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকীর মুখে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কুমার সরকার জানান, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা ছুই ছুই করছে। পানি বৃদ্ধির গতি অব্যাহত থাকলে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করবে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুস সামাদ জানান, বন্যা ও নদী ভাঙ্গন কবলিতদের মধ্যে ৫০ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৪ লাখ টাকাসহ ৪ লাখ টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত