মোংলা ও বুড়িমারীতে শতভাগ দুর্নীতি: টিআইবি

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:১৮

সাহস ডেস্ক

দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা ও বুড়িমারী স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রফতানির প্রতিটি স্থরে শতভাগ দুর্নীতি হয় বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সব নথিপত্র ঠিকঠাক থাকার পরেও একেকটি গাড়ির শুল্কায়নে মোংলা কাস্টমস হাউসের ছয়টি বিভাগে ৪ হাজার টাকা এবং সেই গাড়ি ছাড় করতে বন্দরের ১০টি স্থানে ১ হাজার ৭১৫ টাকা ঘুষ দিতে হয়।

রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি’র সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে জার্মানভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।

টিআইবির গবেষণা বলছে, কেবল গাড়ি নয়, দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা দিয়ে যে কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে হয় ব্যবসায়ী কিংবা তাদের প্রতিনিধিদের। আমদানি পণ্যের প্রতি চালানের (বিল অব এন্ট্রি) বিপরীতে শুল্কায়নের জন্য কাস্টমসে ৩৫ হাজার ৭০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। সেই পণ্য বিকেল পাঁচটার মধ্যে ছাড় করতে হলে ৬ হাজার টাকা এবং এর পরে ছাড় করতে হলে বাড়তি ১ হাজার ২০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এ ছাড়া বন্দরে প্রতিটি জাহাজ আগমন ও বহির্গমনে কাস্টমস হাউসে ৮ হাজার ৩৫০ টাকা ও বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ২১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়।

প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধান ও গবেষণায় আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি, বন্দর দুইটিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং কাস্টমসের সব পর্যায়ে শতভাগ দুর্নীতি রয়েছে। এর পক্ষে আমাদের কাছে শত শত তথ্য প্রমাণ থাকলেও তা আইনিভাবে প্রমাণের কোনো সুযোগ টিআইবির নেই।

তিনি বলেন, তবে বন্দর অপেক্ষা কাস্টমসে দুর্নীতির পরিমাণ বেশি। এর কারণ বন্দর অপেক্ষা কাস্টমসে সেবাদানের সুযোগ বেশি। তবে কে বেশি, কে কম সেটা বড় কথা নয়। সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি শতভাগ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত