পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদী

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:২১

সাহস ডেস্ক

ভিডিও কনফারেন্সে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্প, বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশন ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পে’র উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে নতুন এ তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তারা। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি দপ্তর সাউথ ব্লক ও শেখ হাসিনা ঢাকার গণভবন থেকে রিমোট সুইচ টিপে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর আমরা যৌথভাবে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ উদ্বোধন করেছি। রেলওয়ের দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। আমাদের যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ( নরেন্দ্র মোদি) আপনার এই উদারতার জন্য আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা বিভিন্নমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিগত সাড়ে নয় বছরে উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানী, বাণিজ্য, যোগাযোগ, অবকাঠামো, পরিবেশ, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, শিক্ষা, গণযোগাযোগ, স্বাস্থ্য প্রভৃতি খাতে বহু পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, যে দুটি প্রকল্প আমরা উদ্বোধন করেছি সেগুলো হচ্ছে ভারতের শিলিগুড়ি হতে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত বাংলাদেশ পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারত পাইপলাইন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। ঢাকা টঙ্গী সেকশন ডুয়েল গ্যাস লাইন, টঙ্গী জয়দেবপুর সেকশন ডাবল লাইনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন। ঢাকা-টঙ্গী সেকশনের তৃতীয় চতুর্থ ডুয়েল গ্যাস লাইন, টঙ্গী জয়দেবপুর সেকশনের ডুয়েল গ্যাস লাইন চালু হলে ঢাকা হতে পশ্চিমাঞ্চল, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু ও উত্তরাঞ্চল এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও দ্রুততর হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিলিগুড়ি নুমালিগড় তেল শোধনাগার থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার ডিজেল সরবরাহর পাইপ লাইনের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে দুই বছর। বর্তমানে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ডিজেল সরবরাহ হয়। 

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে  পাইপ লাইন দিয়ে সরবরাহ চালু হয়ে গেলে তার দাম অনেক কমে যাবে।

অন্যদিকে ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-জয়দেবপুর তৃতীয়-চতুর্থ এবং পঞ্চম ডুয়েল-গেজ রেললাইন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে এক দিকে যেমন ঢাকার ওপর চাপ কমবে তেমনি যাতায়াতের গতি বাড়বে। এতে ভারত-বাংলাদেশ উভয়েই উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত