নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৪৭

সাহস ডেস্ক

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিধান নিয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেছেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটটির বিষয়ে শুনানি করতে গেলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শেষ হওয়ার পর আসতে বলেন।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই সম্পূরক আবেদনটি দাখিল করেন, যা মঙ্গলবার আদালতে উপস্থাপন করেন।

ইউনুছ আলী জানান, তফসিল ঘোষণার দিন তারিখ ঠিক না করা হলেও বা তফসিল ঘোষণা না করলেও নিয়ম অনুযায়ী তফসিল নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট করা যায়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর দাখিল করার বিধান কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসন্ন ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর মনোনয়নপত্রে দাখিল করার বিধান গেজেট আকারে প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থন সংগ্রহ, ইত্যাদি— (১) স্বতন্ত্র প্রার্থী যে নির্বাচনি এলাকা হতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক, কেবল সেই এলাকার ভোটারদের সমর্থন ফরম (ক)-এ উক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতার অনুকূলে সংগ্রহ করতে হবে। (২) স্বতন্ত্র প্রার্থী বা তার মনোনীত প্রতিনিধি তফসিলের ফরম ক-তে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার এক শতাংশ ভোটারের তথ্য লিপিবদ্ধ করে ভোটারদের স্বাক্ষর কিংবা টিপসই সংগ্রহ করতে হবে।

এই বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৮ সালে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট আবেদনটি এখনেও নিষ্পত্তি হয়নি। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর মনোনয়নপত্রে দাখিল করার বিধান কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের ৫ মে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

রুলে নির্বাচন কমিশনের উক্ত বিধান কেন বাতিল করা হবে না- এ বিষয়ে ২০১৪ সালের ৯ জুনের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

কিন্তু এখনও তারা জবাব দেননি এবং সেই রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তিও হয়নি বলে জানান রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

তিনি বলেন, ‘আমি একাধিকার রুল শুনানির জন্য আবেদন করলেও নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীরা বার বার সময় আবেদনের কারণে রুল শুনানি হয়নি। বর্তমানে রুলটি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য রয়েছে। ছুটি শেষ হলে রুলটি চূড়ান্ত শুনানির জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানাবো। এ কারণে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ওপর স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছি।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত