পদ্মার ভাঙনের শিকার ৫ হাজার ৮১টি পরিবার

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৪৮

সাহস ডেস্ক

গত ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পদ্মার ভাঙনের শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৮১টি পরিবার। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ৮ হাজার পরিবার। তবে স্থানীয়রা বলছেন ৬ হাজারেরও বেশি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। এ ভাঙনে নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর, মোক্তারের চর ইউনিয়ন ও নড়িয়া পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা (অ: দা:) মো. মাহমুদ আল হাসান জানান, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৮১টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছেন। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (যাদের ভেতর ৫৫ ভাগ দরিদ্র)। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮ হাজার একর জমি ও ২৫০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

আর মূলফৎগঞ্জ বাজারসহ ঝুঁকিতে রয়েছে ১ হাজার ৩০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুইটি প্রাইভেট ক্লিনিক নদী গর্ভে চলে গেছে। আর একটি প্রাইভেট ক্লিনিক ও ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতালের অর্ধেক নদী গর্ভে চলে গেছে। ইতোমধ্যে তিন হাজার ৫১৪টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৩০ কেজি করে মোট ১০৫ দশমিক ৪২০ মেট্রিক টন চাল ও ৩ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার এবং ৩৫০টি পরিবারের মাঝে ৭০০ বান্ডিল টিন বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া নিহত ও নিখোঁজ ১৪ জনের পরিবারকে ২ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।

নড়িয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ বেপারী জানান, ৪নং ওয়ার্ডে এক হাজার ২০০ পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বা ভাড়া বাসায় উঠেছেন। ভাঙনের কবলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এসব মানুষ।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক হাসান বলেন, পদ্মা নদীর পানি না কমা পর্যন্ত তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ করা সম্ভব না। এ মুহূর্তে ভাঙন রোধ সম্ভব না হলেও বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে তীব্রতা কমানোর চেষ্টা চলছে।

জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের জানান, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের জন্য শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার প্রায় ৯ কিলোমিটার জুড়ে পদ্মার ডান তীর রক্ষা প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প গত ২ জানুয়ারি একনেক সভায় পাস হয়। পদ্মা সেতু থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৯৭ কোটি টাকা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত