সোনা বদলে যাওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৩:০৫

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বর্ণে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে সেটা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, পত্রিকায় যে মাত্রায় অনিয়মের খবর এসেছে, ঠিক ওই মাত্রায় কোনো হেরফের হয়নি। হয়ে থাকলেও সামান্য কিছু হয়েছে। আমলাতান্ত্রিক গাফিলতির কারণে সামান্য কিছু হেরফের হয়ে থাকলেও হতে পারে।

আজ বুধবার (১৮ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে এক বৈঠকের পর অর্থ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে অর্থপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। আরও পর্যালোচনা করে দেখব। যদি কারও কোনো গাফিলতি থাকে তাহলে নিশ্চই তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এক বছরের বেশি সময় অনুসন্ধান করে তারা ওই অনিয়ম পেয়েছেন। বিষয়টি এনবিআরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে, যাতে তারা অনিয়মে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারে।

কিন্তু মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রবিউল হোসেন এবং ভল্টের দায়িত্বে থাকা কারেন্সি অফিসার আওলাদ হোসেন চৌধুরী দাবি করেন, ভল্টে রক্ষিত সোনায় কোনো ধরনের হেরফের হয়নি; শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ যেভাবে রেখেছিল, সেভাবেই আছে।

আওলাদ বলেন, শুল্ক গোয়েন্দারা আমাদের সোনা দেওয়ার সময় তা ২২ ক্যারেট বললেও আমরা পরিমাপ করে পাই ১৮ ক্যারেট।… আমাদের তালিকাভুক্ত স্বর্ণকার কষ্টিপাথর দিয়ে সোনার মান যাচাই করেছেন। সেই সনদ অনুযায়ী সোনা ছিল ১৮ ক্যারেটের। ক্যারেটের ওই গড়মিলের বিষয়টি তারা চিঠি দিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে জানিয়েছিলেন। সেখানে আণবিক শক্তি কমিশনের মত তৃতীয় কোনো পক্ষকে দিয়ে ওই সোনার মান যাচাই করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি না হয়ে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ তখন বিষয়টি ‘মেনে নিয়েছিল’।

আর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দেওয়া সোনা জমা রাখার সময় খাঁটি সোনা ৪০ শতাংশই ছিল দাবি করে তিনি বলেন, কিন্তু ইংরেজি বাংলার হেরফেরে সেটা ৮০ শতাংশ লিখে ভুলবশত নথিভুক্ত করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত শখ জুয়েলার্সের স্বর্ণকার এই ভুলটি করেছিলেন।

উল্লেখ্য, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক অনুসন্ধানের তথ্যের ভিত্তিতে দৈনিক প্রথম আলোতে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সংবাদ প্রতিবেদনে ভল্টের সোনা নিয়ে অভিযোগটি সামনে আসে। ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ৯৬৩ কেজি সোনা পরীক্ষা করে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়েছে। জমা দেওয়ার সময় যা ৮০ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা হিসেবে গ্রহণ করে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, দুই বছর পর তা পরীক্ষা করে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ সোনা পাওয়া গেছে। আর ২২ ক্যারেটের সোনা হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত