রাসিক নির্বাচন

লিটনের ভয় অপপ্রচার, বুলবুলের প্রশাসন

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০১৮, ১৯:৩১

রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের প্রচারণা জমে উঠেছে। মেয়র পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও শুরু হয়েছে। তবে এই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের অপপ্রচারকে ভয় করছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত ও ১৪ দলীয় মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। অপরদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রশাসনের ভূমিকা দুশ্চিন্তার কারণ মনে করছেন বিএনপির মনোনীত ও ২০ দলীয় মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

বিএনপির মনোনীত ও ২০ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ভোটের দিন ও আগ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের ভূমিকা কেমন থাকবে তা বলতে পারছি না। নিয়মিত অভিযানের নামে আমাদের নেতাকর্মী, সমর্থকদের হয়রানিমূলক গ্রেপ্তার করতে পারে। আবার নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের বাড়াবাড়ি খুলনা ও গাজীপুরের মতো হয় কিনা আশঙ্কা রয়েছে। যারা ভোটগ্রহণ করবে তাদের ভূমিকা কতটা নিরপেক্ষ থাকবে, ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি এজেন্ট ও ভোটাররা ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারবে কিনা সেই প্রশ্নও রয়েছে।

আওয়ামী লীগের মনোনীত ও ১৪ দলীয় মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, অপপ্রচার হচ্ছে এমন জিনিস এটি নিত্য নতুনভাবে আর্ভিভূত হয়। যারা এটি করেন, তারা এতোটাই সিদ্ধহস্ত, বিশেষ করে জামায়াত-শিবির অপপ্রচারে এতোটাই সিদ্ধহস্ত। তারা নন ইস্যুকে ইস্যু বানাতে খুবই পটু এবং একেবারে মিথ্যা বানোয়াটকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে। কম্পিউটারে কম্পোজ করে, তাদের মোবাইল, ট্যাবে যে ছবিগুলো থাকে, একেবারে উঠান বৈঠকের ছবির মতো দেখায়। যেমন- আযান হচ্ছে, সে সময় আওয়ামী লীগের সভা চলছে। এমন পুরো বানোয়াট ছবি মানুষজনকে দেখায়।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম বলেন, কাউকে অহেতুক গ্রেপ্তার করার প্রশ্ন আসে না। আর চলমান অভিযানে রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন অপরাধে ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আশ্রয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। এখানে নির্বাচন কেন্দ্রীক কোনও আটক-গ্রেপ্তার করা হয় না।

রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আর সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতামূলক ভূমিকা থাকা প্রয়োজন।

রাসিক নির্বাচনে পাঁচ মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৬০ জন ও ১০টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। আগামী ৩০ জুলাই ১৩৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। এবার ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত