শহীদ বুদ্ধিজীবী সেলিনা পারভীনের ছেলের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০১৮, ১৫:৪৮

অনলাইন ডেস্ক

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষী ও একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের ছেলে সুমন জাহিদের (৫২) দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) সকালে খিলগাঁওয়ের বাগিচা মসজিদ সংলগ্ন রেললাইনে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থল থেকে সুমন জাহিদের মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। 

ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক বলেন, ‘সুমন জাহিদের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।’

রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আনুমানিক সকাল ১০টার আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। রেললাইন ঘেঁষেই সুমন জাহিদের লাশ পড়ে ছিল। আমরা ধারণা করছি, ট্রেনের চাকা তার গলার ওপর দিয়ে গেছে। তবে কোন ট্রেন তা আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।’

শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দিনের ছেলে তৌহিদ রেজা নূর বলেন, আমরা মনে করছি, সুমন জাহিদের মৃত্যু কোনোভাবেই দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা চৌধুরী মাঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন সুমন জাহিদ। এদিকে, কয়েকদিন আগে মুন্সীগঞ্জের প্রকাশক, ব্লগার, লেখক শাজাহান বাচ্চুকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোচ্চার ছিলেন সুমনও। শাজাহান বাচ্চুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তমনা মানুষদের বিরুদ্ধে হত্যার যে ধারা শুরু হয়, এই ঘটনাও তারই ধারাবাহিকতা।

তৌহিদ রেজা নূর আরো বলেন, বলা হচ্ছে, ‘সুমন জাহিদ আত্মহত্যা করেছেন কিংবা দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। কিন্তু আমরা সবাই অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। মানসিকভাবে আমরা অনেক শক্ত। আমরা মনে করি না, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তাছাড়া তিনি মোটরসাইকেল চালাতেন। তিনি অনেক সাবধানী ছিলেন। দুর্ঘটনা হলে তার লাশ এভাবে পাওয়া যেত না। আমরা কোনোভাবেই তার মৃত্যুর এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলেও মেনে নিতে রাজি না। ’

সুমন জাহিদ থাকতেন উত্তর শাজাহানপুরে। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী। সুমন জাহিদের স্ত্রীর নাম টুইসি। তাদের সংসারে আছে দুই সন্তান। সুমন জাহিদের বাবার নাম জাহাঙ্গীর খণ্ডলী।