টাঙ্গাইলে জমে উঠেছে ঈদ কেনাকাটা

প্রকাশ | ১৩ জুন ২০১৮, ১২:২৪

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

ক’দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর ঈদে ছোট বড় সকলেরই নতুন পোশাক চাই। ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে টাঙ্গাইল জেলার মার্কেটগুলো। 

ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি মার্কেট ও বিপণী সেজেছে বর্ণিল সাজে। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য দোকানের মালিকরা নিচ্ছেন বিভিন্ন উদ্যোগ। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মার্কেটগুলো একই চিত্র। বিপণী বিতানগুলোকে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বরাবরের মতো এবারও পোশাকের দোকানগুলোতেই বেশি ভিড়। বেচাকেনাও বেশি হচ্ছে পোশাকের দোকানে। এবার ঈদেও বাজারে কেনাকাটায় নারী ক্রেতাই চোখে পড়ে বেশি। বিপণীবিতানগুলো বাহারি ডিজাইনের দেশি ব্র্যান্ডের পোশাকে সেজেছে। গরমে ভয়েল সুতি কাপড়কে প্রাধান্য দিয়ে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো ডিজাইনেও এনেছে নতুনত্ব। মার্কেটগুলোতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা।

ঈদ উপলক্ষে মেয়েদের জন্য রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, থ্রি পিছ, ফোর পিছ, কসমেটিক্স, গহনা এবং পুরুষদের জন্য শাট-প্যান্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামা, লুঙ্গি, গেঞ্জি, জিন্স, জুতা-স্যান্ডেল।

মেয়েদের সালোয়ার কামিজ বিক্রি হচ্ছে ৭শ’ টাকা থেকে ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। শাড়ির দাম ৫শ’ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা। শাড়ির মধ্যে রয়েছে তাঁত, হাফ সিল্ক, মসলিন, এন্ডি কটন, এন্ডি সিল্ক, জামদানি, পিওর সিল্ক ও জুট কাতান ইত্যাদি। পাশাপাশি রয়েছে ভারতীয় শাড়ি। মেয়েদের থ্রি পিছ ৬শ’ টাকা থেকে শুরু করে ১৮ হাজার টাকা।

ছেলেদের শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ৩শ’ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায়। প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ টাকা থেকে ৬-৭ হাজার টাকা। পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। গেঞ্জি পাওয়া যাচ্ছে ৪শ’ টাকা থেকে ৫-৬ হাজার টাকায়।

এ বছরও শিশুদের জন্য বিশাল আয়োজন নিয়ে হাজির হয়েছে শপিংমলগুলো। বিপণীগুলোতে বড়দের পাশাপশি হাতের কাজ করা ছোটদের বাহারি রং ও ডিজাইনের পোশাক সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

ঈদ আয়োজনে মেয়েদের জন্য রয়েছে ফ্রক, টপ স্কার্ট, থ্রি পিস, বেবি টপস স্কার্ট, ডিভাইডার, জিনস প্যান্ট, নরমাল প্যান্ট, থ্রি কোর্য়াটার সেট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, বাবা সেট, গেঞ্জি, শার্ট।

এ বার ঈদে বড়দের পাশাপাশি ছোটদের জন্যও এসেছে মাসাক্কালি, ঝিলিক, হাসি, খুশি পুতুল, পাড়ি, চাক্কি, পার্টিফ্রক, টাইস ও টপস, দুইপার্টের আনারকলি, চাকলী চামেলীনামের গর্জিয়াস পোশাক। এ সব বাহারি নাম তাদের বেশ আকৃষ্ট করেছে। অন্যদিক চড়া দামের কারেণে পছন্দের পোশাকটি শিশুদের কিনে দিতে কোনো কোনো অভিবাবককে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শিশুদের পোশাকের দাম ৭শ’ টাকা থেকে ৭-৮হাজার টাকা। বিভিন্ন ডিজাইনের এসব পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে লেইস, চুমকি, পুতি, ব্লক, পট্টি, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, অ্যাপলিক, কুচি ও হরেক রকমের সুতোর বুনন। 

ঈদ মার্কেট অনেকে শুরু করেছেন রোজার আগে। রোজা থেকে মার্কেটে যেয়ে কেনা-কাটা অনেক কষ্টের তাই তারা আগেই পরিবারের জন্য ঈদ মার্কেট করেছে।

সমবায় মার্কেটে কথা হয় বিন্যাফৈরের হাবিবুরের সাথে। তিনি বলেন, দামের কথা আর কি বলবো ভাই। দাম বাড়বে প্রতিবছর এটাই নিয়ম। আর যদি দোকানে গিয়ে পোশাক পছন্দ হয় তাহলে দোকানদাররা দাম বেশিই চান।

মামুদুল হাসান মার্কেটে কথা হয় আকুর টাকুরের আরিফা আক্তারের সাথে। তিনি বলেন, এবার ঈদে পোশাকের আইটেম, ডিজাইন একটু ব্যতিক্রম। তবে দাম অনেক বেশি। গত ঈদে যেসব থ্রি-পিছ দুই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেগুলোর এবার দাম বেশি।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ