আত্মসমর্পণ করলেন সুন্দরবনের ৫৭ দস্যু

প্রকাশ : ২৩ মে ২০১৮, ১৩:০৮

সাহস ডেস্ক
ফাইল ছবি

সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু, বনদস্যু ও ডাকাত বাহিনীর প্রধানসহ ছয়টি বাহিনীর ৫৭ সদস্য র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

র‌্যাব-৬ এর পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, খুলনার লবণচরায় র‌্যাব-৬ এর কার্যালয়ে আজ বুধবার (২৩ মে) বিপুল অস্ত্র ও গোলা-বারুদ নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন খুলনার দাদা ভাই ওরফে রাজন বাহিনী, আমীর আলী বাহিনী, হান্নান বাহিনী এবং বরিশালের মুন্না বাহিনী, ছোট শামছু বাহিনী ও সূর্য বাহিনীর এ সদস্যরা।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। অনুষ্ঠানে ইতোপূর্বে আত্মসমর্পণকরা ৫৮ দস্যুকে পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১ লাখ টাকার চেক দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।

অনুষ্ঠানে দাদা ভাই বাহিনীর ১৫ জন, হান্নান বাহিনীর ৯ জন, আমির আলী বাহিনীর ৭ জন, সুর্য্য বাহিনীর ১০ জন, ছোট শামসু বাহিনীর ৯ জন এবং মুন্না বাহিনীর ৭ জন দস্যু আত্মসমর্পণ করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা অঞ্চলের তিন দস্যু বাহিনী সুন্দরবনের শ্যামনগর, আড়পাঙ্গাসিয়া, মোংলা, আন্ধার মানিক, হারবাড়িয়া, কলাগাছি এলাকায় জেলে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করতো। বনের ওপর নির্ভরশীল সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। তাদের মাসোয়ারা দিয়ে জেলে-মৌয়ালদের বনে প্রবেশ করতে হতো। এমনকি বনরক্ষীরাও তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতো। তবে সাম্প্রতিক র‌্যাবের বেশ কয়েকটি সফল অভিযানের পর দস্যুদের দৌরাত্ম্য কমতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২ মে থেকে র‌্যাবের বিশেষ অভিযান শুরু হয়। এরপর সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের হারবাড়িয়া দক্ষিণের পশুর নদীর পূর্ব পাড়ের জঙ্গল থেকে ‘দাদা ভাই বাহিনী’র প্রধান জয়নাল আবেদীন ওরফে রাজন সহযোগীদের নিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে। র‌্যাব-৬ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

একই দিন আমির আলী ও হান্নান বাহিনীর দস্যুরাও আত্মসমর্পণ করে। খুলনার তিন বাহিনীর কাছ থেকে বিদেশি সিক্স শুটার গান ১টি, বিদেশি দোনলা বন্দুক ৩টি, বিদেশি একনলা বন্দুক ৪টি, বিদেশি শটগান ১টি, বিদেশি পয়েন্ট ২২ বোরের রাইফেল ২টি, পাইপ গান ৮টি, এয়ার রাইফেল ৬টিসহ সর্বমোট ২৫টি দেশি-বিদেশি আগ্রেয়াস্ত্র ও ৩৪৯ রাউন্ড বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদ উদ্ধার হয়। এর আগে ২১৭ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।

সাহস২৪.কম/মশিউর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত