রাসায়নিক মেশানো এক হাজার মণ আম ধ্বংস

প্রকাশ : ১৮ মে ২০১৮, ১৪:৫৬

সাহস ডেস্ক

রমজান মাসে বাড়তি লাভের আশায় নির্ধারিত সময়ের আগেই অপরিপক্ব আম রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে বিক্রি করছেন কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী। এই অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ফলের আড়তে অভিযান চালিয়ে এমন ১ হাজার মণ আম ধ্বংস ও ৯ বিক্রেতাকে কারাদণ্ড দিয়েছে র‌্যাব-১০ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

রোজা শুরুর আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৭ মে) ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ফলের আড়তে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার মণ আমের পাশাপাশি প্রায় ৪০ মণ পোকা ধরা খেজুরও ধ্বংস করে  র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সারোয়ার আলম বলেন, অভিযানে এক হাজার মণ আম ধ্বংস ও ৪০ মণ খেজুর জব্দ করা হয়েছে। অধিকাংশ আমই অপরিপক্ব। কিন্তু এসব আম ক্যালসিয়াম কারবাইড ও ইথানল  দিয়ে পাকানো। কেমিক্যাল দেয়ায় আমের ওপরের অংশ পাকা দেখা যায়। অথচ ভেতরে কাঁচা।

র‌্যাব জানায়, কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আশা বাণিজ্যালয়ের লুৎফর রহমান ও জাকির হোসেনকে এক বছর, মোস্তফা এন্টারপ্রাইজের মোস্তফা শেখকে ছয় মাস, সাতক্ষীরা  বাণিজ্যালয়ের ইয়াসিনকে ছয় মাস, এস আলম বাণিজ্যালয়ের মিঠুন সাহাকে দুই মাস, আতিউর ট্রেডার্সের রঞ্জিত রাজবংশীকে তিন মাস, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের শাহিদুল এবং  নামহীন দুটি প্রতিষ্ঠানের মেহেদী হাসান ও রেজাউল নামে দু’জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।

পুলিশ জানায়, বিএসটিআইর অনুমোদন না নিয়ে তেল বাজারজাত ও বিএসটিআইর ভুয়া সিল ব্যবহার করার অপরাধে পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাট এলাকার ‘সুইট রাধুনী’ নামের এই  তেলের ব্র্যান্ডের মালিক ইসহাক হোসেনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বোতলের মড়কে লেখা ‘১০০% সুপার রিফাইন্ড’, ‘ফোর্টিফাইড সয়াবিন তেল’।  অথচ এসবের নেই কোনো প্রমাণ, প্রমাণ করার নেই কেউ। কারণ মালিক একাই ব্যবসা চালান, প্যাকিং করেন ২ জন কর্মচারী।

সাহস২৪.কম/রনি/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত