প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর, তিস্তা চুক্তি না–ও হতে পারে

প্রকাশ : ১৮ মে ২০১৮, ১১:২০

সাহস ডেস্ক

আগামী ২৫ মে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। থাকতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ ভবন ও আসানসোলে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বাদে সম্পূর্ণ সফরসূচি ঢাকা থেকে তারা পায়নি।  তাই এ বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানাতে পারবে না।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে গতকাল শুক্রবার ভারতের দ্য নিউ ইন্ডিয়ান  এক্সপ্রেস–এর প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি  আলোচনার টেবিলে না আসার পরিপ্রেক্ষিতে ওই সফরে তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি হবে না।

‘প্রতিবেশী প্রথম’ এই নীতির অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর করেন এবং দুই দেশের মধ্যকার ৪১ বছরের পুরোনো  সীমান্ত সমস্যা সমাধান করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ভারত সফরের সময় একই ধরনের ঐতিহাসিক তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি হবে  বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। তবে ওই চুক্তি রাজ্য সরকার পর্যায়ে আটকে রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিলে তিস্তা চুক্তি ছাড়াই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর হতে  পারে।

তবে দুই প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের তৎপরতা দেখে ও সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে যা জানা যাচ্ছে তা হলো- ২৫ মে কলকাতা বিমানবন্দরে পৃথক  সময়ে অবতরণ করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টার করে পৃথকভাবে শান্তিনিকেতন যাবেন তারা।

সেখানে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। তারা সময় দেবেন বিশ্বভারতী বিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও। এরপর মধ্যাহ্নভোজ শেষে রুদ্ধদ্বারে  দেশের সমস্যা নিয়ে হবে একান্ত বৈঠক। সেখানে দুই রাষ্ট্রের প্রধান ছাড়া তৃতীয় কারও না থাকার সম্ভাবনা বেশি। সম্ভবত শান্তিনিকেতনে যোগ নাও দিতে পারেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পরে সেদিনই কলকাতায় ফিরে আসবেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে তিনি যাবেন নেতাজী ভবনে। সেই রাত থাকবেন কলকাতায়ই। অপরদিকে, বিশ্বভারতী থেকে সরাসরি ফিরে যাবেন নরেন্দ্র মোদী।

সাহস২৪.কম/রনি/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত