বার কাউন্সিল নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশ : ১৪ মে ২০১৮, ১৩:০৭

সাহস ডেস্ক

আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রকারী সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে সারাদেশে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

জানা যায়, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রসহ দেশের জেলা সদরের সকল দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে এবং বাজিতপুরসহ দেশের মোট ১২টি উপজেলা পর্যায়ের দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রগুলোতে এই ভোটগ্রহণ কার্যক্রম একসঙ্গে শুরু হয়। এ নির্বাচনে দেশের ৪৩ হাজার ৭১৩ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এবার নির্বাচনে সরকার সমর্থকদের সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ এবং বিএনপি জোটের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

বার কাউন্সিলের ১৪ সদস্য নির্বাচনের এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন, দেশের সব জেলা সদরের দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণে একটি করে কেন্দ্রে। এছাড়া বাজিতপুর, ইশ্বরগঞ্জ, দুর্গাপুর, ভাংগা, চিকন্দি, পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নবীনগর ও পাইকগাছা দেওয়ানি আদালতসমূহের প্রত্যেকটির প্রাঙ্গণেও একটি করে ভোট কেন্দ্র থাকবে।

সরকার সমর্থক প্যানেল
সাধারণ আসনে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- আবদুল বাসেত মজুমদার, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সৈয়দ রেজাউর রহমান, শ. ম. রেজাউল করিম, এইচ এ এম জহিরুল ইসলাম খান (জেড আই খান পান্না), পরিমল চন্দ্র গুহ (পিসি গুহ) এবং মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বাদল।

অন্যদিকে গ্রুপ আসনে মনোনীতরা হলেন- ঢাকা জেলার (গ্রুপ -এ) কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর জেলার আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ বি) মো. কবির উদ্দিনভূঁইয়া, বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ সি) ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা ও সিলেট জেলা অঞ্চলের আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ ডি) এ.এফ. মো. রুহুল আনাম চৌধুরী, বৃহত্তর খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ ই) পারভেজ আলম খান, বৃহত্তর রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ এফ) মো. ইয়াহিয়া এবং বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার আইনজীবী সমিতিতে (গ্রুপ এফ) রেজাউল করিম মন্টু।

বিএনপি সমর্থক প্যানেল
সাধারণ আসনে বিএনপি সমর্থিত সাত প্রার্থী হলেন আব্দুল জামিল মোহাম্মদ আলী ( এ জে মোহাম্মদ আলী), মো. ফজলুর রহমান, বোরহান উদ্দিন, মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা, তৈমুর আলম খন্দকার, মো. আব্বাস উদ্দিন ও সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া।

পাশাপাশি গ্রুপ আসনের সাত প্রার্থী হলেন: গ্রুপ এ-তে মো. মহসীন মিয়া, গ্রুপ বি-তে বাঁধন কুমার গোস্বামী, গ্রুপ সি-তে মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, গ্রুপ ডি-তে এ টি এম ফয়েজ উদ্দীন, গ্রুপ ই-তে শাহ মো. ছারিরুর রহমান (এস আর ফারুখ), গ্রুপ এফ-তে মো. ইসহাক, গ্রুপ জি-তে শেখ মো. মোখলেছুর রহমান।

প্রতি তিন বছর অন্তর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। একজন ভোটার মোট আটটি ভোট দিতে পারেন। এর মধ্যে সাধারণ আসনের জন্য ৭টি ভোট এবং অঞ্চলভিত্তিক একটি ভোট। বার কাউন্সিল ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে রাষ্ট্রের এটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বাকি ১৪ জন আইনজীবীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন।

১৪ জনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারাদেশে সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের (বার কাউন্সিলের সদস্য) ভোটে সাধারণ আসনে সাতজন এবং দেশের সাতটি অঞ্চলের লোকাল আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে সাতজন নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

সাহস২৪.কম/রনি/মশিউর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত