প্লেনটিতে কোনো টেকনিক্যাল ত্রুটি ছিল না: ইউএস-বাংলা

প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:২১

সাহস ডেস্ক

বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনার জন্য নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষক দায়ী করেছে বাংলাদেশের বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া, দুর্ঘটনার দুই মিনিটের মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা গেলে হতাহতের সংখ্যা কম হতো।  

দুর্ঘটনার এক মাস ১০ দিন পর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে রবিবার সংবাদ সম্মেলনে আসে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ।

রবিবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্য দেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা-সিইও ইমরান আসিফ।

ইউএস-বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ বলেন, দুর্ঘটনার এক মাস পর নেপাল সিভিল এভিয়েশন অথরিটি প্রাথমিক একটি তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।  ওই তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার দুই মিনিটের মধ্যেই উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কাজে নিয়োজিত হন।  স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত প্লেনযাত্রীদের কাছ থেকে আমরা যা জেনেছি, তাতে আমাদের ধারণা যে প্রকৃতভাবেই দুই মিনিটের মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা নিয়োজিত হয়ে থাকলে হতাহতের সংখ্যা হয়তো কম হতো।

‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে আপনারা জেনেছেন দুর্ঘটনার আগে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে পাইলটকে বিভ্রান্তিকর নির্দেশনাবলী দেওয়া হয়েছিল। সেই টাওয়ার থেকে ইউএস-বাংলার বৈমানিকদের ল্যান্ডিং ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার পর সেই ক্লিয়ারেন্স বাতিল না করেই এয়ারক্রাফটটিকে অন্যত্র হোল্ডিং করতে বলা হয় এবং একই সময় অন্য এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অবতরণ করতেও দেওয়া হয়।

এয়ারলাইনসটির সিইও বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনটিতে কোনো টেকনিক্যাল ত্রুটি ছিল না। ইউএস-বাংলার নিজস্ব প্রতিবেদনেও কোনো কারিগরি ত্রুটি ছিল না বলে প্রতীয়মান হয়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দাবি করে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের ধারণা।  তবে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ বলে আসে, নিয়ন্ত্রণকক্ষের ভুল বার্তার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।  পাইলটের কোনো গাফিলতি ছিল না। পাইলট ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের তিন মিনিটের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড তাদের হাতে রয়েছে।

নেপালি টাইমস’ও বলেছে, অডিও রেকর্ড শুনে মনে হয়, নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে ভুল বার্তা দেওয়ার কারণে ককপিটে দ্বিধায় পড়েন পাইলট।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত