দুই বছর না পেরুতেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ক্ষত

প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০১৮, ১২:৪৬

সাহস ডেস্ক

সরকারের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়কের উদ্বোধন করা হয় ২০১৬ সালের দুই জুলাই। অথচ উদ্বোধনের দুই বছর না পেরোতেই দেখা গেছে নানা ‘ক্ষত’ ও খানাখন্দ।

সম্প্রতি প্রকল্পটিকে নিয়ে সরেজমিন তদন্তে নামার জন্য পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে(আইএমইডি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইএমইডি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোরলেন মহাসড়ক পরিদর্শন করবে। এর পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার।

এই বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভারী যানবাহন চলাচলে কয়েক স্থানে সমস্যা হয়েছে। আমি আইএমইডি’কে (পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ) বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি। তারা তদন্ত রিপোর্ট দিলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্যদিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ১৯২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার সড়ক পরবর্তী পাঁচ বছর মৃসণ ও অক্ষত রাখতে ৯৪৪ কোটি টাকার ‘আবদার’ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর(সওজ)।

সওজ সূত্র থেকে জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত হওয়া ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেন’ পরবর্তী পাঁচ বছর মৃসণ রাখতে একটি প্রকল্পও নেয়া হয়েছে। এর আওতায় এতো বড় বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এমন ব্যতিক্রমী প্রকল্প সওজ এই প্রথম নিয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের সারসংক্ষেপটি পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে পাঠিয়েছে সওজ। পিইসি সভার জন্য সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে পরিকল্পনা কমিশন। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তাবায়ন করা হবে।

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বছরওয়ারী টাকা ব্যয় করা হবে ফোরলেনটি মসৃণ রাখতে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৬৬ কোটি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১১৩ কোটি ৩১ লাখ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১১৬ কোটি ৩৩ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩২১ কোটি ৩৫ লাখ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে  ১২৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

প্রকল্প ব্যয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোরলেন সড়ককে টেকসই ও নিরাপদ, মসৃণ সড়কে রূপ দেয়া। সড়কের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেগা প্রকল্পটি যেন সামনে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই লক্ষে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ঘন মিটার সয়েল আর্দেন সোল্ডার নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ২৬ হাজার ৫৬২ ঘন মিটার ওয়ার্নিং কোর্স রুট করা হবে। পাঁচ বছরে ফোরলেন জুড়ে ১১ হাজার ৩৬৬ কিলোমিটার রুটিন মেইনটেন্সের সংস্থান রয়েছে।

ভারী যানবাহনের কারণে মহাসড়কের সম্ভাব্য রাটিং মেরামত ও স্থানবিশেষে মজবুত করণ, সার্ফেসিং, ওভারলে, পথচারী পারাপারের জন্য ফুটওয়ার ব্রিজ, মিডিয়ান গার্ডপোস্ট, বেরিয়ার-সিগন্যাল পোস্ট ইত্যাদি মেরামতের জন্য রুটিন মেরামত করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত