বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় নিয়ন্ত্রণের প্রতিবাদে উদীচীর সাংস্কৃতিক সমাবেশ

প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৮, ২১:৪২

পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় নিয়ন্ত্রণ এবং মুখোশ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিবাদে দেশব্যাপী প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।

১৩ এপ্রিল ২০১৮ শুক্রবার দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থিত উদীচী’র সাড়ে তিন শতাধিক শাখা সংসদের উদ্যোগে একযোগে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে ১৩ এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৪টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি আয়োজিত হয়।

উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ-এর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, সাবেক ছাত্রনেতা আকরামুল হক, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক জীবনানন্দ জয়ন্ত, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এ এন রাশেদা, চিত্রশিল্পী আনোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী দোলা বন্দোপাধ্যায়, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি প্রবীর সরদার, সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, সহ-সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, সঙ্গীত ইমাম ও ইকবালুল হক খান। 

সমাবেশে লিটন নন্দী বলেন, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় সঙ্কোচনের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে যারা বাঙালি সংস্কৃতিকে সীমাবদ্ধ করে রাখতে চায় তাদের স্বার্থই রক্ষা করা হলো।

সঙ্গীতা ইমাম বলেন, উদীচী সরকারের এই একতরফা সিদ্ধান্ত মানবে না।

অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে অমিত রঞ্জন দে বলেন, বিভিন্ন সময়ে মৌলবাদী অপশক্তির আক্রমণ ও রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে যাত্রাপালাসহ সংস্কৃতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ ধারা চলতে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উদীচী সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন অভিযোগ করেন, সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে এদেশের চিরায়ত সংস্কৃতির উপর বর্বর আক্রমণ চালিয়ে আসছে। এর বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক জাগরণ বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ ও মিরপুর শাখা সংসদের শিল্পীরা। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন আনান বাউল ও উচ্ছ্বাস পাল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন বেলায়েত হোসেন, শিখা সেনগুপ্তা ও সুমিত পাল। দেশব্যাপী এ কর্মসূচিতে উদীচী ছাড়াও দেশের অন্যান্য প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক ভাবধারার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও যোগ দেয়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহবানও জানায় উদীচী।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ