বর্ষবরণে যৌন নিপীড়ন: সাক্ষির দেখা পায়নাই আদালত

প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০১৮, ১৪:১২

সাহস ডেস্ক

২০১৫ সালে পহেলা বৈশাখের সন্ধ‌্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে ভিড়ের মধ্যে একদল যুবক নারীদের ওপর চড়াও হয়। যৌন নিপীড়নের মামলায় অভিযোগ গঠনের পর দশ মাস হতে চললেও এ পর্যন্ত একজন সাক্ষীরও দেখা মেলেনি আদালতে।

অধিকারকর্মীরা বলছেন, এ ধরনের মামলার বিচার বিলম্বিত হওয়ার কারণেই বাড়ছে যৌন সহিংসতার অপরাধ। পুলিশ ভিডিও দেখে আটজনের ছবি প্রকাশ  করলেও নানা নাটকীয়তার পর পুলিশের তদন্ত ব্যুরো-পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্রের একমাত্র আসামি মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে গতবছর ১৯  জুন অভিযোগ গঠন করে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী মাহমুদা আক্তার বলেন, অভিযোগ গঠনের পর দুটি তারিখ পেরিয়ে গেলেও রাষ্ট্রপক্ষে কোনো সাক্ষীকে তারা হাজির করতে  পারেননি। এর ফলে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণই শুরু করা যায়নি।  আর একমাত্র আসামি কামালও বর্তমানে জামিনে আছেন। 

মাহমুদা জানান, আগামী ৩ জুন এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার সাক্ষীদের নামে সমন পাঠিয়েছেন। আগামীতে পিপি অফিসের মাধ্যমে সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের মামলার বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে বিচারিক পরিবেশ ভেঙে পড়বে। দিনে দুপুরে  নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা বাড়তে থাকবে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মনে রাখতে হবে যে তাদের পরিবারও এসব ঘটনায় যে কোনো  সময় আক্রান্ত হতে পারে।

পহেলা বৈশাখে যৌন নিপীড়নের ওই ঘটনার পরদিন শাহবাগ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা  করেন। ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার মধ্যে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও থেকে আট নিপীড়কের ছবি পাওয়ার কথা  জানান তখনকার পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু ওই ছবি প্রকাশের সাত মাস পর ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস ঢাকার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, পুলিশ অপরাধী কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত